সংকটাপন্ন পাঁচটি শারিয়াহভিত্তিক ব্যাংক একীভূত করে গঠিত হতে যাচ্ছে একটি নতুন সরকারি ব্যাংক। ইতোমধ্যে নতুন ব্যাংকের নাম প্রায় চূড়ান্ত হয়েছে। একাধিক নাম প্রস্তাব হলেও, ব্যাংক মার্জার সংক্রান্ত টাস্ক ফোর্স-এর অধিকাংশ সদস্য ‘ইউনাইটেড ইসলামিক ব্যাংক’ নামটি গ্রহণ করেছেন।
এদিকে, বাংলাদেশ ব্যাংকের গভর্নর আহসান এইচ মনসুর জানিয়েছেন, মার্জার প্রক্রিয়া শুরু করার জন্য দুই-এক দিনের মধ্যে সরকারকে চিঠি পাঠাতে চান।
টাস্ক ফোর্স ও সংশ্লিষ্ট তিনটি সূত্র ‘টাইমস অব বাংলাদেশ’কে নিশ্চিত করেছে, গভর্নর মনসুর ‘ইউনাইটেড ইসলামিক ব্যাংক’ নামটি প্রস্তাব করেছেন, যা টাস্ক ফোর্সের অধিকাংশ সদস্যের পছন্দ হয়েছে। টাস্ক ফোর্সের বৈঠকে গভর্নর কিছু নামের প্রস্তাব চেয়েছিলেন এবং সেই অনুযায়ী আল আমানা ইসলামি ব্যাংক, আল এহসান ইসলামী ব্যাংক, আল ফালাহ ইসলামী ব্যাংকসহ কয়েকটি নামের প্রস্তাব আসে।
সূত্র জানায়, গভর্নরের চিঠির ড্রাফট বুধবার সন্ধ্যায় প্রস্তুত করা হয়েছে। বৃহস্পতিবার বা রোববার অর্থ মন্ত্রণালয়ে চিঠি পাঠানো হতে পারে। অর্থ মন্ত্রণালয় অনুমোদন দেওয়ার পরই নতুন ব্যাংক গঠনের আনুষ্ঠানিক কার্যক্রম শুরু হবে।
এ বিষয়ে ফার্স্ট সিকিউরিটি ইসলামী ব্যাংকের চেয়ারম্যান টাইমস অব বাংলাদেশকে বলেন, ‘মার্জার প্রক্রিয়া দ্রুততার সঙ্গে সম্পন্ন করা গেলে ভালো হবে। এতে মানুষ স্বস্তি পাবে। দেরি হলে জটিলতা বাড়ার আশঙ্কা থাকে।’
মার্জার সংক্রান্ত টাস্ক ফোর্সের একজন সদস্য নাম প্রকাশ না করার শর্তে টাইমস অব বাংলাদেশকে বলেন, ‘এটি যেহেতু সরকারি ব্যাংক হবে, তাই নতুন কোম্পানি গঠনের জন্য আর্টিকেলস অব অ্যাসোসিয়েশন এবং মেমোরেন্ডাম অব আর্টিকেল প্রস্তুত করার দায়িত্ব অর্থ মন্ত্রণালয়ের। তবে, মন্ত্রণালয়ের কাজ সহজ করার জন্য আমরা এগুলোর খসড়া প্রস্তুত করে মন্ত্রণালয়ে পাঠিয়েছি। মন্ত্রণালয় এটি ফাইনাল করবে।’
নবগঠিত ব্যাংকের নাম সম্পর্কে ফার্স্ট সিকিউরিটি ইসলামী ব্যাংকের চেয়ারম্যান মোহাম্মদ আব্দুল মান্নান বলেন, ‘ব্যাংকের নামটি মার্কেটিংয়ের জন্য গুরুত্বপূর্ণ। ইসলামিক নাম হলে আমাদের কোনো আপত্তি নেই। তবে, সেকুলার নাম প্রস্তাবিত হলে আমাদের আপত্তি থাকত।’