চলতি সপ্তাহেই ত্রয়োদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনের রোডম্যাপ ঘোষণা করবে নির্বাচন কমিশন (ইসি)। অর্থাৎ আগামী তিন দিনের মধ্যেই আসবে নির্বাচনী কর্মপরিকল্পনার এই ঘোষণা।
সোমবার রাজধানীর আগারগাঁও নির্বাচন ভবনে নিজ কার্যালয়ে একথা জানান ইসির সিনিয়র সচিব আখতার আহমেদ।
তিনি বলেন, ‘মাঠ প্রশাসনে নিয়োজিত দায়িত্বপ্রাপ্ত কর্মকর্তাদের সঙ্গে সমন্বয়ের জন্য ফোকাল পারসন নির্ধারণের ব্যাপার আছে। পরিপত্রম নির্দেশনা ইত্যাদি বিষয় সম্পর্কিত কাগজপত্র তৈরি করা, এ বিষয়ে এখন একটা মিটিং চলছে। এটা আমরা কোঅর্ডিনেট করার চেষ্টা করছি যেন আমরা সময়ের আগেই কাজগুলোকে গুছিয়ে রাখতে পারি।’
সীমানা নির্ধারণের বিষয়ে সচিব বলেন, ‘৮২টি আসন সম্পর্কিত যে আপত্তি এসছে, সে বিষয়ে আমরা ২৪ আগস্ট থেকে শুনানি শুরু করব। চারদিন ধরে শুনানি হবে। পরে আমরা এটাকে ফাইনালাইজ করব।’
এই মুহূর্তে আইনশৃঙ্খলা সংক্রান্ত কোনও উদ্বেগ নেই জানিয়ে আখতার আহমেদ বলেন, ‘নির্বাচনকালীন আইনশৃঙ্খলা তো আরও পরের ব্যাপার। আমার মনে হয় না যে, এটা নিয়ে এই মুহূর্তে উদ্বেগ প্রকাশ করার কোনও যুক্তিসংত কারণ আছে।’
সোমবার মাসিক সমন্বয় মিটিং ছিল জানিয়ে তিনি বলেন, ‘সেখানে আমরা এনআইডি কারেকশনের স্ট্যাটাসটা জানার চেষ্টা করেছি। যেগুলো রিজেকশন হচ্ছে সেগুলো আবার রিসাবমিট করছেন সংশোধনের জন্য। আমাদের দৃষ্টিতে যেটা গ্রহণযোগ্য না, আবেদনকারীর দৃষ্টিতে সেটা সঠিক। কাজেই তার আপিল করার সুযোগ আছে। আমরা আপিল অনুযায়ী নিষ্পত্তি করব। এটার সংখ্যা এখন প্রায় ৮০ হাজার।’
বৈঠকে ভোটকেন্দ্র স্থাপনের নীতিমালা নিয়েও আলোচনা হয়েছে বলে জানান ইসি সচিব।
তিনি বলেন, ‘আমরা বলেছি যে, ভোটকেন্দ্রের সংখ্যা বাড়বে না। বাড়বে না- এর অর্থ এই নয় যে অতীতে যা ছিল সেটাই একদম হুবহু রাখতে হবে। যৌক্তিক বিবেচনায় বাড়তে পারে। ভোটকেন্দ্র না বাড়িয়েও শুধু ভোটার উপস্থিতির বিষয়টাকে যদি আমরা বিবেচনায় নিই, তাহলে আমরা হয়ত এটাকে সমন্বয় করতে পারব।’
‘উদাহরণ হিসেবে বলতে পারি, এখন আমাদের প্রতিটি কেন্দ্রে পুরুষদের জন্য আছে ৫০০ জনের একটা বুথ। এটাকে আমরা যদি ৬০০ করতে পারি তাহলে হয়ত আমরা অ্যাকোমোডেট করতে পারব।’
ইসি সচিব আরও জানান, প্রাথমিক বাছাইয়ে উত্তীর্ণ ২২টি দলের বিষয়ে তথ্য সংগ্রহের জন্য মাঠ পর্যায়ে পাঠানো হয়েছে। আর যেসব দলের আবেদন বাতিল বা বিবেচনাযোগ্য হয়নি তাদেরকে চিঠি দিয়ে জানিয়ে দেওয়া হচ্ছে।
তিনি বলেন, ‘এবার আমরা স্পষ্ট করে বলে দেবো, যে কোন শর্তের অপূর্ণতার কারণে তাদেরটা বিবেচনা করা যায়নি।’