ভারতে ডাকাতির অভিযোগে গ্রেপ্তার ৬ ‘বাংলাদেশি’

2 Min Read
গ্রেপ্তার ব্যক্তিদের কাছ থেকে উদ্ধার হওয়া সামগ্রী। ছবি: মেঘালয় পুলিশের সৌজন্যে
Highlights
  • মেঘালয় পুলিশ বলছে, গ্রেপ্তার ব্যক্তিদের জেরা করে তারা জানতে পেরেছে, গত ৬ আগস্ট মহেশখোলা এলাকা দিয়ে দলটি সীমান্ত পেরিয়ে ভারতে ঢুকেছে।  তারা ডাকাতি ও ব্যবসায়ীকে অপহরণ করে অর্থ আদায়ের উদ্দেশ্যেই এসেছিল বলে প্রাথমিকভাবে মনে করছে পুলিশ।

সীমান্ত পেরিয়ে ডাকাতির সময় কথিত ছয় ‘বাংলাদেশিকে’ গ্রেপ্তার করেছে ভারতের মেঘালয় রাজ্য পুলিশ।

পুলিশ জানায়, স্থানীয়দের দলবদ্ধপিটুনিতে ওই ডাকাত দলের আরও একজন মারা যান। এ ঘটনায় একজন ‘দুষ্কৃতকারী’ এখনো পলাতক রয়েছেন।

বিবিসি বাংলার খবরে বলা হয়, গ্রেপ্তারকৃতদের কাছ থেকে বাংলাদেশ পুলিশের একজন কনস্টেবলের পরিচয়পত্র, তিনটি ওয়্যারলেস সেট, বিস্ফোরক, ছুরি ও কাঁটাতারের বেড়া কাটার যন্ত্র উদ্ধার করা হয়েছে।

তবে বাংলাদেশ পুলিশ ওই কনস্টেবলের পরিচয়পত্র নিয়ে সন্দেহ প্রকাশ করেছে। নেত্রকোনা ও শেরপুর পুলিশের পাশাপাশি বিজিবি কর্মকর্তারা বিবিসি বাংলাকে জানিয়েছেন, ভারতের পক্ষ থেকে ওই ডাকাতির ঘটনাটি এখনো আনুষ্ঠানিকভাবে বাংলাদেশকে জানানো হয়নি।

মেঘালয়ের দক্ষিণ-পশ্চিম ‘খাসি হিলস’ জেলার পুলিশ সুপার বি. জেরোয়া বলেন, ‘গত ৮ আগস্ট ভোরের দিকে রঙ্গডাঙ্গাই গ্রামের একটি দোকানে আট-নয়জন দুষ্কৃতকারী আক্রমণের পর এক কর্মচারীকে অপহরণ করে।’

জব্দ করা বাংলাদেশ পুলিশের পরিচয়পত্র। ছবি: মেঘালয় পুলিশের সৌজন্যে

‘ওই যুবক পালিয়ে গ্রামের একটি বাড়িতে আশ্রয় নিলে দুষ্কৃতকারীরা তার পিছু নিয়ে ওই এলাকায় ঢুকে গুলি ছোড়ে। পরে ওই যুবককে ব্যাপক মারধর করে দুষ্কৃতিকারীরা ছেড়ে দেয়’, যোগ করেন তিনি।

পুলিশ সুপার জানান, দোকান মালিকের ফোন পেয়ে সেখানে লোকবল পাঠালে সন্দেহভাজন ওই ব্যক্তিরা সীমান্তবর্তী জঙ্গলে পালিয়ে যায়। পরে পুলিশ তাদের পরিত্যাক্ত কুড়াল, কাঁটাতারের বেড়া কাটার যন্ত্র, পিস্তলের খোল, স্ক্রু ড্রাইভার, ছুরি, বাংলাদেশ পুলিশের পরিচয়পত্রসহ মোট ২১টি সামগ্রী জব্দ করে।

এর পর বিভিন্ন সময় বাংলাদেশের কুমিল্লার মেহফুজ রহমান, জামালপুরের জাহাঙ্গীর আলম ও মারুফুর রহমান, নারায়ণগঞ্জ জেলার সাঈম হুসেইন এবং সুনামগঞ্জের মোবারক হুসেইনকে গ্রেপ্তার করে আইনশৃঙ্খলা বাহিনী।

এছাড়া গ্রামবাসী পিটুনিতে শেরপুরের আকরাম নামে একজন মারা যান। এরপর আরও এক অপরাধীকে আটক করে স্থানীয়রা। তবে অন্য জন বোমা ফাটিয়ে পালিয়ে যায়। ধারণা করা হচ্ছে, তিনিই ওই দলের প্রধান নির্দেশদাতা।

মেঘালয় পুলিশ বলছে, গ্রেপ্তার ব্যক্তিদের জেরা করে তারা জানতে পেরেছে, গত ৬ আগস্ট মহেশখোলা এলাকা দিয়ে দলটি সীমান্ত পেরিয়ে ভারতে ঢুকেছে।  তারা ডাকাতি ও ব্যবসায়ীকে অপহরণ করে অর্থ আদায়ের উদ্দেশ্যেই এসেছিল বলে প্রাথমিকভাবে মনে করছে পুলিশ। এ ঘটনায় তদন্ত চলছে বলেও জানায় তারা।

Share This Article
Leave a comment

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *