মালয়েশিয়া বিমানবন্দর থেকে আরও ২৬ বাংলাদেশিকে ফেরত

টাইমস রিপোর্ট
2 Min Read
কুয়ালালামপুর আন্তর্জাতিক বিমানবন্দর। ছবি : সংগৃহীত
Highlights
  • এর আগে জুলাই মাসে দুই দফায় ২১৯ বাংলাদেশিকে মালয়েশিয়ার বিমানবন্দর থেকে থেকে ফেরত পাঠানো হয়েছে।

কুয়ালালামপুর আন্তর্জাতিক বিমানবন্দর থেকে ২৬ বাংলাদেশিকে ফেরত পাঠিয়েছে মালয়েশিয়া।

মঙ্গলবার বিমানবন্দরটির এক নম্বর টার্মিনাল দিয়ে দেশটিতে প্রবেশের চেষ্টা করার সময় এই বাংলাদেশিদের ফেরত পাঠায় সীমান্ত নিয়ন্ত্রণ ও সুরক্ষা সংস্থা (একেপিএস)।

এর আগে দুই দফায় ২১৯ বাংলাদেশিকে মালয়েশিয়ার বিমানবন্দর থেকে থেকে ফেরত পাঠানো হয়েছে।

মালয়েশিয়ার রাষ্ট্রীয় বার্তা সংস্থা বারনামা জানিয়েছে, মঙ্গলবার ঢাকা থেকে দুটি আলাদা ফ্লাইটে কুয়ালালামপুর আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরে পৌঁছান ওই ২৬ বাংলাদেশি।

একেপিএসের বিবৃতিতে বলা হয়, ‘গোয়েন্দা তথ্য অনুসারে, তাদের ভ্রমণ পূর্বপরিকল্পিতভাবে সাজানো ছিল। তাদের সহায়তায় কিছু তৃতীয় পক্ষ সক্রিয় ছিল বলে সন্দেহ করা হচ্ছে। বিমানবন্দরের এক নম্বর টার্মিনালের আন্তর্জাতিক প্রবেশ গেট এলাকায় পৌঁছানো মাত্রই তাদের গতিবিধি পর্যবেক্ষণ করে মনিটরিং ইউনিটের সদস্যরা। এরপর সঙ্গে সঙ্গে তাদের থামিয়ে দেওয়া হয়। পরে জিজ্ঞাসাবাদের জন্য তাদের একেপিএস অপারেশন অফিসে নিয়ে যাওয়া হয়।’

বিবৃতিতে আরও বলা হয়, প্রাথমিক তদন্ত অনুযায়ী এসব বাংলাদেশিরা মালয়েশিয়ায় প্রবেশের জন্য নির্ধারিত শর্ত পূরণ করতে ব্যর্থ হন এবং তাদের ভ্রমণ উদ্দেশ্য ছিল সন্দেহজনক ও অসংগতিপূর্ণ। যাচাই-বাছাই শেষে একেপিএস কর্তৃপক্ষ তাদেরকে দেশে ফেরত পাঠানোর সিদ্ধান্ত নেয়। পরবর্তী ফ্লাইটেই তাদের বাংলাদেশে ফেরত পাঠানো হয়েছে।

সংস্থাটির বরাত দিয়ে বারনামা জানিয়েছে, কুয়ালালামপুর আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরের মতো দেশের প্রধান প্রবেশপথগুলোয় সীমান্ত নিরাপত্তা আরো জোরদার করা হয়েছে। উচ্চ ঝুঁকিপূর্ণ আগমনকারীদের রুখতে একেপিএস কঠোর নজরদারি ও পদক্ষেপ অব্যাহত রাখবে।

এর আগে গত জুলাই মাসে দুই দফায় বিমানবন্দর থেকে ২১৯ বাংলাদেশিকে ফেরত পাঠায় মালয়েশিয়া। এর মধ্যে ২৪ জুলাই ১২৩ জন এবং ১১ জুলাই ৯৬ জন বাংলাদেশিকে ফেরত পাঠানো হয়। সে সময়ও তাদের বিরুদ্ধে প্রয়োজনীয় শর্তাবলি পূরণে ব্যর্থ হওয়ার অভিযোগ করেছিল একেপিএস।

সংস্থাটির মহাপরিচালক মোহাম্মদ শুহাইলি মোহাম্মদ জেইন জানিয়েছিলেন, যাদের প্রবেশে বাধা দেওয়া হয়েছে, তাদের অনেকের কাছেই প্রয়োজনীয় কাগজপত্র, যথেষ্ট তহবিল বা বিদেশি মুদ্রা ছিল না। কেউ কেউ হোটেল বুকিং দেখাতে পারেননি। আবার অনেকের ভ্রমণের উদ্দেশ্য ছিল অস্পষ্ট, যা অভিবাসন আইন অনুযায়ী প্রবেশের অনুপযুক্ত হিসেবে গণ্য হয়।

Share This Article
Leave a comment

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *