কক্সবাজারের রামুর রশিদনগর থেকে সদর উপজেলার ভারুয়াখালী যাওয়ার পথে রেললাইন পার হতে গিয়ে সিএনজি অটোরিক্সার সাথে ট্রেনের সংঘর্ষে ৪ জনের মৃত্যু হয়েছে। ট্রেনের ধাক্কায় অটোরিক্সাটি দুমড়ে মুচড়ে যায়। চারজন যাত্রী ঘটনাস্থলেই মারা যান বলে জানা গেছে।
রামু থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) তৈয়বুর রহমান বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন। রশিদনগর ইউনিয়নের ধলিরছড়া এলাকায় বেলা আড়াইটার দিকে এই দুর্ঘটনা ঘটে।
রেলওয়ে বিভাগ জানিয়েছে, কক্সবাজার থেকে চট্টগ্রামের উদ্দেশে ছেড়ে যাওয়া ট্রেনটি ধলিরছড়া ক্রসিং পার হওয়ার সময় সিএনজি অটোরিক্সাটি রেল বিটের উপর উঠে গেলে এই দুর্ঘটনা ঘটে।
পরে ঘটনাস্থল থেকে ওসি তৈয়বুর রহমান জানান, নিহতদের মধ্যে একজন মরজিনা আক্তার (৩৫) ও তার শিশু সন্তান। তিনি কক্সবাজার সদর উপজেলার পোকখালী ইউনিয়নের পূর্ব গোমাতলীর বাসিন্দা। সঙ্গে তার শিশু সন্তানও মারা গেছে।
অটোরিকশাটির চালক শাহাব উদ্দিনও ঘটনাস্থালে। নিহত অপরজনের পরিচয় এখনো জানা যায়নি।
রশিদনগরের ইউপি সদস্য বদি আলম সাংবাদিকদের জানান, অটোরিকশাটি রশিদনগর রেলক্রসিং পেরিয়ে রেল লাইনের উপর উঠে পড়লে কক্সবাজার এক্সপ্রেস সেটিকে ধাক্কা দিলে ওই দুর্ঘটনা ঘটে।
তিনি বলেন, এ সময় অটোরিকশাটি ট্রেনের সামনের অংশে আটকে গেলে ট্রেনটি একে প্রায় আধা কিলোমিটার পর্যন্ত টেনেহিঁচড়ে নিয়ে যায়। এতে নিহতদের দেহ ছিন্ন-ভিন্ন হয়ে বিভিন্ন জায়গায় ছিটকে পড়ে।’
রামুর সহকারী রেলস্টেশন মাস্টার আক্তার হোসেন জানান, ঢাকাগামী কক্সবাজার এক্সপ্রেসের সঙ্গে এই দুর্ঘটনা ঘটে। দুর্ঘটনার পর সেটি গন্তব্যে চলে গেছে। কিন্তু রামুর পানিরছড়া এলাকায় ঢাকা থেকে কক্সবাজারগামী পর্যটক এক্সপ্রেস আটকে রেখেছেন বিক্ষুব্ধ স্থানীয়রা।