ঢাকায় শেষ হলো এশিয়ান ক্রিকেট কাউন্সিলের (এসিসি) দুদিন ব্যাপী বার্ষিক সাধারণ সভা। গুঞ্জন ছিল এই সভা শেষেই আসন্ন এশিয়া কাপের ভবিষ্যত নিয়ে চূড়ান্ত সিদ্ধান্ত আসবে। কিন্ত এসিসি সভাপতি মহসিন রেজা নাকভি সভা শেষে জানাতে পারেননি কী আছে এশিয়া কাপের ভাগ্যে। বৃহস্পতিবার গণ মাধ্যমের সাথে আলাপকালে পিসিবি সভাপতি জানিয়েছেন, বিসিসিআইয়ের সাথে আলোচনা করেই চূড়ান্ত সিদ্ধান্ত জানাবেন তারা।
এবারের এশিয়া কাপের আয়োজক ভারত। আগামী সেপ্টেম্বরের প্রথম সপ্তাহ থেকে মাঠে গড়ানোর কথা আছে এই টুর্নামেন্টের। যদিও সূচি-ভেন্যু নিয়ে আনুষ্ঠানিকভাবে কিছু জানানো হয়নি এসিসির পক্ষ থেকে। তবে বিসিসিআই সূত্রে একাধিক ভারতীয় সংবাদ মাধ্যম জানিয়েছে, ৮ দল নিয়ে সংযুক্ত আরব আমিরাতে আগামী ৫ সেপ্টেম্বর শুরু হয়ে ২১ সেপ্টেম্বর পর্যন্ত চলবে এশিয়া কাপ।
এশিয়া কাপের ভবিষ্যত প্রসঙ্গে রাজধানীর একটি পাঁচ তারকা হোটেলে সভা শেষে এসিসি সভাপতি মহসিন নাকভি বলেন, ‘এশিয়া কাপের সূচি আমরা খুব শীঘ্রই ঘোষণা করব। বিসিসিআইয়ের সাথে আমরা সহাবস্থানে আছি। আশা করছি খুব দ্রুতই সব সমাধান হয়ে যাবে। আর এসব নিয়ে আমি নিজে ব্যক্তিগতভাবে কথা বলেছি। আমিনুল ভাইয়েরও (বিসিবি সভাপতি) কিছু আলোচ্য ইস্যু ছিল। চেষ্টা করছি যত দ্রুত সম্ভব সেসব সমাধানের।’
গত এক সপ্তাহ ধরে ভারতের গণ মাধ্যমে বিভিন্ন প্রতিবেদনে বলা হয়, বাংলাদেশে আয়োজিত হওয়ায় এসিসির এই বার্ষিক সভা বর্জন করেছে বিসিসিআই। নেপথ্যে বাংলাদেশের সাথে সাম্প্রতিক রাজনৈতিক ও কূটনৈতিক সম্পর্কে নেমে আসা শীতলতা। যুক্ত হয়েছিল পাকিস্তানের সাথে দীর্ঘদিন চলে রাজনৈতিক টানাপোড়েনের ইস্যুও। তবে প্রতিনিধি না পাঠালেও শেষ পর্যন্ত অনলাইনে সভায় যুক্ত ছিলেন ভারতীয় বোর্ডের সহ-সভাপতি রাজীব শুক্লা।
এশিয়া কিংবা বিশ্ব ক্রিকেটে ভারতের যে প্রভাব; সেটা অস্বীকার করার উপায় নেই কারো। কারণ ক্রিকেটের বাজার, টিভি স্বত্ত্ব, আইসিসিতে তাদের কর্তৃত্বের বিচারে ভারতই সবার চেয়ে এগিয়ে। ভারত যদি আঞ্চলিক রাজনীতিকে প্রাধান্য দেয়, সেক্ষেত্রে আলোর মুখ দেখবে না এশিয়া কাপ। শেষ পর্যন্ত এশিয়া কাপ মাঠে না গড়ালে সেই ফাঁকা সময়ে ত্রিদেশীয় সিরিজ আয়োজনের ভাবনাতেও আছে বিসিসিআই।