নাটোরের বড়াইগ্রামে ট্রাক–মাইক্রোবাস সংঘর্ষে আটজন নিহতের ঘটনায় ট্রাকচালক মহির উদ্দিনকে গ্রেপ্তার করেছে আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনী।
নাটোর সদর উপজেলার বামনডাঙ্গা গ্রাম থেকে বুধবার রাত ১০টার দিকে ওই চালককে আটক করা হয়।
মহিরের বাড়ি নাটোরের তেবাড়িয়া ইউনিয়নের বামনডাঙ্গা গ্রামে। সড়ক দুর্ঘটনায় নিহত জাহিদ হোসেনের আত্মীয় নজরুল ইসলাম, বাদী হয়ে অজ্ঞাত ট্রাকচালকের নামে বড়াইগ্রাম থানায় সড়ক নিরাপত্তা আইনে একটি মামলা করেন।
র্যাব–৫ নাটোর ক্যাম্পের কমান্ডার অতিরিক্ত পুলিশ সুপার হাফিজ আল অসাদ জানান, ‘দুর্ঘটনার পর তথ্যপ্রযুক্তির সহায়তায় অভিযান চালিয়ে আত্মগোপনে থাকা ট্রাকচালককে গ্রেপ্তার করে বনপাড়া হাইওয়ে থানা পুলিশের কাছে হস্তান্তর করা হয়।‘
বড়াইগ্রামের বনপাড়া–হাটিকুমরুল মহাসড়কের আইড়মারি ব্রিজ এলাকায় ট্রাক–মাইক্রোবাস সংঘর্ষে মাইক্রোবাসের সাতজন যাত্রী ও চালকসহ মোট আটজন নিহত হন। মাইক্রোবাসটি কুষ্টিয়া থেকে সিরাজগঞ্জে যাচ্ছিল।‘
বুধবার সকালে কুষ্টিয়ার দৌলতপুর থেকে সিরাজগঞ্জের এনায়েতপুরে অসুস্থ এক আত্মীয়কে দেখতে যাচ্ছিলেন নিহতরা। পথে সিরামপুর এলাকার তরমুজ পাম্পের সামনে থেকে অন্য একটি ট্রাককে ওভারটেক করতে গিয়ে বিপরীত দিক থেকে আসা আরেকটি ট্রাকের সঙ্গে মাইক্রোবাসটির সংঘর্ষ হয়। এতে ঘটনাস্থলেই পাঁচজন নিহত হন।
পরে আহত তিনজনকে উদ্ধার করে স্থানীয় হাসপাতালে নেওয়া হলে আরও একজন মারা যান। গুরুতর আহত অবস্থায় চালক সাহাব উদ্দিন ও অপর যাত্রী সীমা খাতুনকে রাজশাহী মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে ভর্তি করা হলে চিকিৎসাধীন অবস্থায় সেখানে তাদেরও মৃত্যু হয়।
নিহতদের মধ্যে মাইক্রোবাস চালকসহ ছয়জনের বাড়ি কুষ্টিয়ার দৌলতপুর উপজেলার ধর্মদহ গ্রামে। অপর দুইজনের বাড়ি পার্শ্ববর্তী মেহেরপুর জেলার গাংনী উপজেলার বেতবাড়িয়ায়।