জুলাই গণঅভ্যুত্থানে সরকার পরিবর্তন হলেও শ্রমিকদের কোনো লাভ হয়নি বলে জানান জাতীয় গার্মেন্টস শ্রমিক ফেডারেশনের সদস্যরা।
তারা বলেন, ‘জুলাই গণঅভ্যুত্থানের পর শ্রমিকশ্রেণির উন্নতির আশা থাকলেও বাস্তবে তার আশানুরূপ ফল দেখা যায়নি। তারা আগের দুর্দশাতেই রয়েছেন।’
নতুন সরকারের কাছে তাদের ৫২টির মতো দাবি ছিল এবং পরবর্তীতে তারা ১৮ দফা দাবি জানান। কিন্তু এখনো কোনো দাবি বাস্তবায়ন করা হয়নি বলে জানান তারা।
বুধবার সকালে রাজধানীর জাতীয় প্রেস ক্লাবে ‘জাতীয় গার্মেন্টস শ্রমিক ফেডারেশন’ আয়োজিত এক আলোচনা সভায় এসব কথা বলেন বক্তারা।
আলোচনা সভায় প্রধান অতিথি জাতীয়তাবাদী শ্রমিক দলের সভাপতি আব্দুল কাদের হাওলাদার বলেন, ‘শ্রমিক কর্মচারী ঐক্য পরিষদ সরকারের কাছে নয় দাবি জানিয়েছিল, যা এখনো বাস্তবায়ন করা হয়নি। গার্মেন্টস শ্রমিকদের ন্যূনতম মজুরি ৩০ হাজার করার দাবি নিয়েও কোনো পদক্ষেপ সরকার নেয়নি।’
এ সময় শ্রম কমিশনের রিপোর্ট বাস্তবায়ন করার জন্য অন্যান্য শ্রমিক ইউনিয়নে ঐকমত্য গঠন করার আহ্বান জানান তিনি।
জাতীয় গার্মেন্টস শ্রমিক ফেডারেশনের অন্যান্য সদস্যরা জানান, ‘ঈদুল আজহার পর অনেক শ্রমিককে চাকরি থেকে বরখাস্ত করা হয়েছে এবং শ্রমিকদের কালো তালিকাভুক্ত করা হচ্ছে।’
ফেডারেশনের অর্জন নিয়ে তারা বলেন, ‘শ্রমিকদের জন্য মে দিবসের ছুটি প্রতিষ্ঠা, সাপ্তাহিক ছুটি মঞ্জুর, মাতৃত্বকালীন ছুটি ও ভাতা প্রদান, নিরাপদ কর্মস্থল, ট্রেড ইউনিয়ন অধিকার, নারীপুরুষের বৈষম্য নিরসন, ডে কেয়ার সেন্টার প্রতিষ্ঠা ও প্রাথমিক চিকিৎসায় তারা নিরলস কাজ করে সফলতা অর্জন করেছে।’
আলোচনা সভার শুরুতে রাজধানীর মাইলস্টোন স্কুল অ্যান্ড কলেজে বিমান বিধ্বস্তের ঘটনায় হতাহত শিক্ষার্থীদের জন্য শোক প্রকাশ করে কোরআন পাঠ ও দোয়া করা হয়।
এ সময় আরও উপস্থিত ছিলেন জাতীয় গার্মেন্টস শ্রমিক ফেডারেশনের সভাপতি আমিরুল হক আমিন, জাতীয় গার্মেন্টস শ্রমিক ফেডারেশনের সাধারণ সম্পাদক রফিকুল ইসলামসহ ফেডারেশনের অন্যান্য সদস্যরা।