প্রাথমিকে বৃত্তি পরীক্ষার পরিপত্র বাতিলের দাবি  

টাইমস রিপোর্ট
3 Min Read
জাতীয় প্রেস ক্লাবে বাংলাদেশ কিন্ডারগার্টেন ঐক্য পরিষদ আয়োজিত সংবাদ সম্মেলন। ছবি: টাইমস
Highlights
  • ‘বর্তমানে দেশে প্রায় ৫০ হাজার কিন্ডারগার্টেন ও সমমানের বেসরকারি শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান পাঠদান কার্যক্রম চালাচ্ছে। এসব প্রতিষ্ঠানে এক কোটির বেশি শিক্ষার্থী অধ্যয়ন করছে। বেসরকারি প্রতিষ্ঠানের শিক্ষার্থীরা বৃত্তি পরীক্ষা দিতে না পারলে, এই বিপুল সংখ্যক শিক্ষার্থীর প্রতি অবিচার করা হবে।’

পঞ্চম শ্রেণির প্রাথমিক বৃত্তি পরীক্ষার বিষয়ে ১৭ জুলাই শিক্ষা অধিদপ্তরের জারি করা পরিপত্র বাতিলের দাবি জানিয়েছে বাংলাদেশ কিন্ডারগার্টেন ঐক্য পরিষদ। একইসঙ্গে বেসরকারি শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানগুলোকে বৃত্তি পরীক্ষায় অংশ নেওয়ার সুযোগ দিয়ে ২৯ জুলাইয়ের মধ্যে নতুন পরিপত্র জারির আহ্বান জানিয়েছে সংগঠনটি।

দাবি পূরণ না হলে ৩০ জুলাই সারা দেশে একযোগে মানববন্ধন কর্মসূচির ডাক দেওয়া হয়েছে।

বুধবার রাজধানীর জাতীয় প্রেস ক্লাবে বাংলাদেশ কিন্ডারগার্টেন ঐক্য পরিষদ আয়োজিত এক সংবাদ সম্মেলন থেকে এ ঘোষণা দেওয়া হয়।

এ সময় ‘প্রাথমিক বৃত্তি পরীক্ষা ২০২৫’ উপলক্ষে জারি করা শিক্ষা অধিদপ্তরের এই পরিপত্রকে ‘বৈষম্যমূলক’ অভিহিত করে এর সঙ্গে জড়িত কর্মকর্তাদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেওয়ার দাবি জানান বক্তারা।

সংগঠনের মহাসচিব মো. রেজাউল হক বলেন, ‘বেসরকারি শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানের শিক্ষার্থীরা প্রাথমিক বৃত্তি পরীক্ষায় অংশ নিতে পারবে না বলে জারি করা প্রজ্ঞাপন ২৯ জুলাইয়ের মধ্যে মধ্যে বাতিল করতে হবে। একইসঙ্গে সারা দেশের সব শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানকে এই পরীক্ষায় অংশ নেওয়ার সুযোগ দেওয়ার নির্দেশনা দিয়ে নতুন প্রজ্ঞাপন জারি করতে হবে।’

তিনি আরও বলেন, ‘বর্তমানে দেশে প্রায় ৫০ হাজার কিন্ডারগার্টেন ও সমমানের বেসরকারি শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান পাঠদান কার্যক্রম চালাচ্ছে। এসব প্রতিষ্ঠানে এক কোটির বেশি শিক্ষার্থী অধ্যয়ন করছে। বেসরকারি প্রতিষ্ঠানের শিক্ষার্থীরা বৃত্তি পরীক্ষা দিতে না পারলে, এই বিপুল সংখ্যক শিক্ষার্থীর প্রতি অবিচার করা হবে।’

সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের তুলনায় বেসরকারি প্রতিষ্ঠানের শিক্ষার্থীদের রেজাল্ট ভালো বলে কৌশলে তাদের বৃত্তি পরীক্ষায় অংশ নেওয়া থেকে বিরত রাখার অপচেষ্টা করা হচ্ছে বলে অভিযোগ করেন বক্তারা।

তারা বলেন, ‘২০০৯ সাল থেকে যে প্রাথমিক শিক্ষা সমাপনী (পিইসি) পরীক্ষা হয়েছে, সেখানে কিন্ডারগার্টেনের ফলাফল সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের তুলনায় অনেক ভালো। এমনকি ২০২২ সালের বৃত্তি পরীক্ষাতেও বেসরকারি প্রতিষ্ঠানের ফলাফল সরকারি বিদ্যালয়ের তুলনায় অনেকে ভালো।’

বক্তারা বলেন, ‘সরকারি প্রাথমিকের বিদ্যালয় ও বেসরকারি প্রতিষ্ঠানের শিক্ষার্থীর সংখ্যা প্রায় সমান। উপবৃত্তি ও মিড-ডে মিলসহ বছরে সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়গুলোর পেছনে সরকারের খরচ প্রায় ৩২ হাজার কোটি টাকা। সেখানে বেসরকারি প্রতিষ্ঠানগুলোর পেছনে সরকারের কোনো খরচ নেই। তবুও মেধা যাচাইয়ের পরীক্ষায় এই শিক্ষার্থীদের অংশ নিতে দিলে সমস্যা কোথায়?’

বক্তারা আরও বলেন, বৃত্তি কোনো অনুদান না, মেধার স্বীকৃতি। দেশের সব শিক্ষার্থীর এই মেধা যাচাই পরীক্ষায় অংশ নেওয়ার অধিকার আছে।

এ সময় আরও উপস্থিত ছিলেন বাংলাদেশ কিন্ডারগার্টেন ঐক্য পরিষদের সভাপতি ইসকান্দার আলী হাওলাদার, নুরুজ্জামান কায়েস, লায়ন তাজুল ইসলাম নজরুল, মো. হাসান আলীসহ সংগঠনের নেতারা।

Share This Article
Leave a comment

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *