আলীকদমে গুলিতে পর্যটক নিহত

টাইমস ন্যাশনাল
2 Min Read
বান্দরবান আলীকদমের দুর্গম পাহাড়ে জুমঘর। ছবি: টাইমস

বান্দরবান আলীকদমের এক দুর্গম পাহাড়ে গুলিবিদ্ধ হয়ে মারা গেছেন ত্বহা বিন আমীন (২৪) নামের এক পর্যটক।

সোমবার বিকেলে উপজেলার কুরুকপাতা ইউনিয়নের ৯ নং ওয়ার্ডভুক্ত চাইল্ল্যাতলী এলাকায় এ ঘটনা ঘটে। নিহত ত্বহা সেখানে চার বন্ধুসহ একটি জুমঘরে অবস্থান করছিলেন।

এ ঘটনায় মঙ্গলবার নিহতের মা সালমা বেগম বাদী হয়ে আলীকদম থানায় মামলা করেন। এজাহারে অভিযোগ করা হয়েছে ত্বহার সফরসঙ্গী মীর মাহদী হাসান নাবিলের বিরুদ্ধে। পুলিশ নাবিলকে গ্রেপ্তার করেছে।

বান্দরবান জেলা পুলিশের মুখপাত্র ও অতিরিক্ত পুলিশ সুপার আবদুল করীম এসব তথ্য নিশ্চিত করেন।

তিনি জানান, খবর পেয়ে পুলিশ সোমবার রাতে নিহত পর্যটকের গুলিবিদ্ধ মরদেহ উদ্ধার করে থানায় নিয়ে আসে। মঙ্গলবার সকালে ময়নাতদন্তের জন্য মরদেহ বান্দরবান সদর হাসপাতালে পাঠানো হয়। আসামি মীর মাহদী হাসান নাবিলকে গ্রেপ্তারের পর আদালতে পাঠানো হয়েছে।

ঘটনাস্থল কুরুকপাতা ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান ক্রাতপুং ম্রো জানান, শনিবার ঢাকা থেকে পাঁচজন আলীকদমে বেড়াতে আসেন। তারা পর্যটক তথ্যকেন্দ্রে নাম তালিকাভুক্ত করেননি। পাঁচ বন্ধু রাতে অবস্থান করেন ম্রো জনজাতি অধ্যুষিত আলীকদম উপজেলার দুর্গম দরি পাড়ায়। পরদিন তারা চলে যান তরনী পাড়ায়।

সেখানে একটা জুমঘরে তারা রাত কাটান। পরদিন সকালে জুমঘরের চালে একটি গাদাবন্দুক দেখতে পেয়ে তা নাড়াচড়া করছিলেন বলে জানা গেছে। ঘটনার সময় নাবিলের হাতে থাকা বন্দুক থেকে গুলি বের হয়ে ত্বহা বিন আমীনের বুকে বিদ্ধ হয়। ঘটনাস্থলেই তার মৃত্যু হয়। খবর পেয়ে পুলিশ রাতে ঘটনাস্থলে গিয়ে মরদেহ উদ্ধার করে।

ক্রাতপুং ম্রো জানান, পশু-পাখি শিকার করার জন্য প্রায় বাড়িতে এ ধরনের গাদাবন্দুক রাখা হয়। ধারণা করা হচ্ছে, বন্দুকটি জুমঘরে রেখে ম্রো পরিবারটি জুম ক্ষেতে কাজ করতে গেলে এ ঘটনা ঘটে।

পুলিশ জানায়, নিহত ত্বহা বিন আমীন ঢাকা জেলার ডেমরা থানার শান্তিবাগ এলাকার বাসিন্দা। শনিবার সাইফুল, মেরাজ, নাবিল ও মিনহাজ নামের চার বন্ধুকে নিয়ে ত্বহা আলীকদম আসেন। দুর্ঘটনা নয় তিনি পরিকল্পিত হত্যার শিকার বলে পরিবারের পক্ষ থেকে দাবি করা হয়েছে। এ অবস্থায় অন্যদের জিজ্ঞাসাবাদের পর ছেড়ে দিলেও নাবিল নামের বন্ধুকে গ্রেপ্তার করে তথ্য যাচাই চলছে।

এর আগেও আলীকদমে বেড়াতে গিয়ে পানিতে ভেসে একাধিক পর্যটকের মৃত্যু ঘটেছে।

Share This Article
Leave a comment

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *