গোপালগঞ্জে জাতীয় নাগরিক পার্টির (এনসিপি) নেতা কর্মী ও আওয়ামী লীগ নেতা কর্মীদের মধ্যে ধাওয়া-পাল্টা ধাওয়া এবং আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর সঙ্গে সংঘর্ষে হতাহতের ঘটনায় চারটি হত্যা মামলা হয়েছে। এসব মামলায় গণগ্রেপ্তার বন্ধের দাবি জানিয়েছে জেলা বিএনপি।
সোমবার সকালে গোপালগঞ্জ কাঁচা বাজার এলাকায় বিএনপির জেলা কার্যালয়ে আয়োজিত সংবাদ সম্মেলনে এ দাবি করা হয়।
সংবাদ সম্মেলনে লিখিত বক্তব্যে জেলা বিএনপির আহ্বায়ক শরীফ রফিকুজ্জামান বলেন, ‘১৬ জুলাই এনসিপির পূর্বঘোষিত সমাবেশ পণ্ড করার উদ্দেশে আওয়ামী লীগ ও তার সকল অংগ সংগঠন শহরে প্রবেশের সকল সড়ক অবরোধ করে রাখে। কর্তব্যরত সরকারি কর্মকর্তা ও পুলিশ সদস্যদের মারপিট, গাড়ি ভাঙচুর এবং অগ্নিসংযোগ করে জনমনে ভিতির সৃষ্টি করে। হামলা চালিয়ে ভাঙচুর করে সরকারি বিভিন্ন গুরুত্বপূর্ণ স্থাপনা ও বিএনপি নেতাদের বেশ কয়েকটি তোরণ।’
তিনি আরও বলেন, ‘সমাবেশ শেষ হলে এনসিপির নেতাদের আক্রমণ করতে চড়াও হয় কিছু দুর্বৃত্ত। একপর্যাায়ে এনসিপির নেতা কর্মী ও আওয়ামী লীগ নেতা কর্মীদের মধ্যে ধাওয়া-পাল্টা ধাওয়ায় অনেক লোক হতাহত হন।’
রফিকুজ্জামান বলেন, ‘আইনশৃঙ্খলা বাহিনী কয়েকটা মামলা করেছে। সে মামলায় কোনো নিরীহ শান্তিপ্রিয় নাগরিকে হয়রানি না করার জন্য সংশ্লিষ্ট বাহিনীকে অনুরোধ জানান।
এনসিপির সমাবেশকে কেন্দ্র করে জেলার বিভিন্ন উপজেলায় যে সকল হামলার ঘটনা ঘটেছে তার নিন্দা ও প্রতিবাদ জানান তিনি। এর আগে সকালে গোপালগঞ্জ শহরের বিভিন্ন রাস্তায় প্রতিবাদ ও বিক্ষোভ মিছিল করে বিএনপির বিভিন্ন অঙ্গ সংগঠন।