একটি দলকে কোলে রেখেছেন: মির্জা আব্বাস

টাইমস রিপোর্ট
3 Min Read
নয়াপল্টনের সমাবেশে বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য মির্জা আব্বাস। ছবি: ইউএনবি

অন্তর্বর্তী সরকারকে ‘পক্ষপাতমূলক আচরণ’ পরিহারের আহ্বান জানিয়েছেন বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য মির্জা আব্বাস। ‘দেশের একটি দলকে আপনারা কোলে রেখেছেন, আরেকটি দলকে রেখেছেন কাঁখে।’-বলে তিনি অভিযোগ করেন।

রাজধানীর নয়াপল্টনে বিএনপির কেন্দ্রীয় কার্যালয়ের সামনে আয়োজিত এক অনুষ্ঠানে তিনি এসব কথা বলেন।

জুলাই-আগস্ট গণঅভ্যুত্থানের শহীদদের স্মরণে শুক্রবার (১৮ জুলাই) বিএনপির কেন্দ্রীয় কার্যালয়ের সামনে থেকে মৌন মিছিল বের করা হয়। দলীয় এ কর্মসূচির আগে সেখানে সংক্ষিপ্ত সমাবেশে বক্তব্য রাখেন বিএনপির কেন্দ্রীয় নেতৃবৃন্দ।

সমাবেশে মির্জা আব্বাস বলেন, ‘বিএনপি বর্তমান অন্তর্বর্তী সরকারকে স্বাগত জানিয়েছে এবং সহযোগিতা করার চেষ্টা করছে। আমরা এখনও আপনাদেরকে সমর্থন করছি। তাই, দয়া করে খুব শিগগিরই একটি জাতীয় নির্বাচনের ব্যবস্থা করুন। নির্বাচন অনুষ্ঠিত হলে দেশে চলমান অস্থিরতা শান্ত হয়ে যাবে। কিন্তু যদি তা না হয়- তাহলে মানুষ বিশ্বাস করবে যে, আপনারাই দেশকে অস্থিতিশীল করছেন, যাতে দীর্ঘ সময় ক্ষমতায় থাকতে পারেন।’

‘আমরা অন্তর্বর্তী সরকারকে বলতে চাই, দয়া করে, পক্ষপাতমূলক আচরণ বন্ধ করুন। এটি দেশের ক্ষতি করছে। একটি পক্ষের প্রতি ঝুঁকে এবং অন্য পক্ষকে পাশ কাটিয়ে বিএনপিকে নির্মূলের করার চেষ্টা করবেন না।’

বিএনপির এই নেতা বলেন, ‘কেউ কেউ বলছেন বিএনপি ক্ষমতায় আসতে মরিয়া। এটা সত্য নয়। বিএনপি ১৭ বছর ধরে রাজপথে জনগণের গণতান্ত্রিক অধিকার এবং ভোটের অধিকারের জন্য লড়াই করছে। এখন আপনারা বিএনপিকে নিশ্চিহ্ন করে ক্ষমতা দখল করতে চান।’

‘যতক্ষণ পর্যন্ত বিএনপির একজনও নেতা বা কর্মী বেঁচে থাকবেন, ততক্ষণ আপনাদের বিএনপিকে নির্মূল করার স্বপ্ন কখনোই পূরণ হবে না।’

অন্য রাজনৈতিক দলের নেতাদের ইঙ্গিত করে মির্জা আব্বাস বলেন, ‘বিএনপির মতো সত্যিকারের দেশপ্রেমিক দলের বিরুদ্ধে ভিত্তিহীন গুজব এবং অপবাদ ছড়াবেন না। আমাদের উত্তেজিত করার চেষ্টা করবেন না বা আমাদের অন্য দিকে ঠেলে দেবেন না। আপনারা বিএনপির সঙ্গে লড়াই করার চেষ্টা করছেন। কিন্তু বিএনপি ঝগড়ায় জড়াবে না। বিএনপি বিশৃঙ্খলার দল নয়। বিএনপি একটি গণতান্ত্রিক দল যারা গণতন্ত্রের জন্য লড়াই করে এবং জনগণের সঙ্গে থাকে।’

মিটফোর্ডে এক ভাঙারি ব্যবসায়ীর মর্মান্তিক হত্যাকাণ্ডের কথা উল্লেখ করে তিনি বলেন, ‘একজন যুবদল নেতা খুনের শিকার হয়েছেন। কিন্তু কেউ কেউ এই ঘটনাকে বাংলাদেশ থেকে বিএনপিকে নিশ্চিহ্ন করে ক্ষমতায় আসার পথ পরিষ্কার করার হাতিয়ার হিসেবে ব্যবহার করছেন।’

সমাবেশের পরে বিএনপি নেতাকর্মীরা মৌন মিছিল বের করে। মিছিলটি কাকরাইল, শান্তিনগর, মৌচাক এবং মালিবাগ ক্রসিং হয়ে আবুল হোটেলের কাছে গিয়ে শেষ হয়।

Share This Article
Leave a comment

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *