খাঁচাবন্দি ৬১ টি পাখি ও দুটি কচ্ছপকে উদ্ধারের পর নিরাপদ পরিবেশে অবমুক্ত করেছে বন অধিদপ্তর।
রাজধানীর মিরপুর এলাকায় শুক্রবার সকাল ১০টা থেকে দুপুর পর্যন্ত চার ঘণ্টার অভিযানে বন অধিদপ্তরের বন্যপ্রাণী অপরাধ দমন ইউনিট এসব পাখি ও কচ্ছপ জব্দ করে।
‘পাখির হাট’ নামে পরিচিত মিরপুর-১ এলাকার বাজারে এসব প্রাণী বিক্রির জন্য আনা হয়েছিল।
উদ্ধার করা পাখিগুলোর মধ্যে রয়েছে- ৪১টি টিয়া, ৩টি হরিয়াল ও ঘুঘু, ১০টি মুনিয়া এবং ৫টি শালিক। এছাড়া উদ্ধার করা হয়েছে ২টি কচ্ছপ।
প্রধান বন সংরক্ষক মো. আমীর হোসাইন চৌধুরী বলেন, ‘প্রকৃতিতে বন্যপ্রাণীর স্বাধীন বিচরণই তাদের প্রাকৃতিক অধিকার। শহরের পাখির হাটগুলোতে যেভাবে অসংখ্য বন্য প্রাণী খাঁচায় বন্দি হয়ে বিক্রি হচ্ছে, তা শুধু বেআইনি নয় নিষ্ঠুরও বটে।’
বন্যপ্রাণী কেনাবেচা ও খাঁচায় পোষা থেকে বিরত থাকতে তিনি সকলের প্রতি আহ্বান জানান।
বন অধিদপ্তর জানায়, পাখি এবং অন্যান্য বন্যপ্রাণী বিক্রি ও খাঁচাবন্দি রাখা বাংলাদেশ বন্যপ্রাণী (সংরক্ষণ ও নিরাপত্তা) আইন, ২০১২ অনুযায়ী দণ্ডনীয় অপরাধ। জনসচেতনতা বাড়ানো এবং অবৈধ বন্যপ্রাণী বাণিজ্য বন্ধে এ ধরনের অভিযান নিয়মিত পরিচালিত হচ্ছে।
অভিযানে জব্দ পাখিগুলো মিরপুর বোটানিক্যাল গার্ডেনে অবমুক্ত করা হয়েছে।