জাতীয় নাগরিক পার্টির (এনসিপি) সমাবেশ নিয়ে বুধবার আওয়ামী লীগ কর্মী এবং আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর মধ্যে সহিংস সংঘর্ষের পর গোপালগঞ্জে কারফিউ জারি করা হয়েছে। আর এর ফলে শহরটিতে এর রেশ আরও প্রগাঢ় হচ্ছে।
স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয় থেকে জারি করা এক বিজ্ঞপ্তিতে জানানো হয়, কারফিউ অনির্দিষ্টকালের জন্য বাড়ানো হয়েছে। তবে শুক্রবার দুপুর ১১টা থেকে ২টা পর্যন্ত তিন ঘণ্টার বিরতি থাকবে।
শহরটির রাস্তা-ঘাট এখনো সেই সহিংসতার চিহ্ন বহন করছে। ভাঙা-চোরা ইটপাটকেল, সমাবেশের পুড়ে যাওয়া সামগ্রী এবং বাঁশের লাঠি পড়ে রয়েছে শহরটির সড়কগুলোতে।
বুধবারের সংঘর্ষে অন্তত চারজন নিহত এবং বহু মানুষ আহত হয়েছেন। সরকার এ ঘটনায় জড়িতদের বিচার নিশ্চিত করার কথা বলেছে। একই সঙ্গে রাজনৈতিক দলের নেতারা দ্রুত ন্যায়বিচারের দাবি জানিয়েছেন।
এদিকে, বৃহস্পতিবার রাত ১১টা পর্যন্ত ১০০ জনেরও বেশি মানুষকে হামলার সঙ্গে জড়িত থাকার অভিযোগে গ্রেপ্তার করা হয়েছে।
এই ঘটনা গোপালগঞ্জকে এক ধরনের ‘ভুতুড়ে শহর’ হিসেবে পরিণত করেছে। সব দোকানপাট বন্ধ রয়েছে। খুব কম কিছু স্থানীয় বাসিন্দা এক স্থান থেকে অন্য স্থানে চলাফেরা করছেন।
কারফিউ সম্প্রসারিত হওয়ায়, শহরের বাসিন্দারা গোপালগঞ্জ ছাড়তে পুলিশলাইন বাসস্টান্ডে যাচ্ছেন। আরও অনেকেই শহরটি ছেড়ে যাওয়ার পরিকল্পনা করেছেন।
আর সুযোগে টিকিটের দাম আকাশচুম্বী হয়েছে। যাত্রীদের সংখ্যা এতই বেশি যে, প্রয়োজনীয় সংখ্যক টিকিটও পাওয়া যাচ্ছে না।
রাতের আঁধারে গোপালগঞ্জে এক অস্থির অপেক্ষার অনুভূতি বিরাজ করছে। শহরের বাসিন্দারা এক নতুন দিনের অপেক্ষা করছেন, যখন তারা নিশ্চিন্তে তাদের নিজের শহরে বসবাস করতে পারবেন।