‘ব্যক্তিগত ও ব্যবসায়িক দ্বন্দ্ব থেকেই মিটফোর্ড হত্যাকাণ্ড’

টাইমস রিপোর্ট
2 Min Read
মিডফোর্ড এলাকায় নৃশংস হত্যাকাণ্ডের শিকার লাল চাঁদ ওরফে সোহাগ। ছবি: সংগৃহীত
Highlights
  • ‘ওই ব্যক্তির নাম রেজওয়ান উদ্দিন অভি। তার বাবার নাম মনোরঞ্জন বসু ও মায়ের নাম বিউটি দেব মিলা। তিনি একজন ধর্মান্তরিত মুসলিম।’

পুরান ঢাকার মিটফোর্ড হাসপাতালের সামনে ভাঙারি ব্যবসায়ী লাল চাঁদ ওরফে সোহাগ (৩৯) হত্যাকাণ্ড কোনো রাজনৈতিক সংশ্লিষ্টতা নয়, বরং ব্যক্তিগত ও ব্যবসায়িক দ্বন্দ্ব থেকেই ঘটেছে বলে জানিয়েছে ঢাকা মেট্রোপলিটন পুলিশ।

চাঞ্চল্যকর এই হত্যা মামলার অগ্রগতি তুলে ধরে বুধবার দুপুরে ডিএমপির মিডিয়া সেন্টারে আয়োজিত সংবাদ সম্মেলনে এসব তথ্য জানানো হয়। খবর ইউএনবির।

সংবাদ সম্মেলনে ডিএমপি কমিশনার শেখ মো. সাজ্জাত আলী বলেন, ‘ঘটনার খবর পাওয়ার পরপরই চকবাজার পুলিশ ফাঁড়ির ইনচার্জ সারোয়ার ঘটনাস্থল থেকে সন্দেহভাজন মাহবুব ও মহিনকে গ্রেপ্তার করেন। পরে প্রত্যক্ষদর্শীদের বর্ণনা ও সিসিটিভি ফুটেজ বিশ্লেষণের পর আরও সাতজনকে গ্রেপ্তার করা হয়। এ মামলার মোট ৯ জন আসামিকে এখন পর্যন্ত গ্রেপ্তার করা হয়েছে।’

সবশেষ মঙ্গলবার রাতে এ মামলায় পটুয়াখালী থেকে এক যুবক গ্রেপ্তার হন। পুলিশের পক্ষ থেকে জানানো হয়, মামলার অন্যান্য আসামিদের গ্রেপ্তারে অভিযান এখনো চলমান থাকায় গ্রেপ্তার হওয়া ব্যক্তির নাম-পরিচয় এখনই প্রকাশ করা যাচ্ছে না।

এ বিষয়ে ডিএমপি কমিশনার বলেন, ‘ সিসিটিভি ফুটেজ থেকে সোহাগকে পাথর দিয়ে আঘাতকারীকে সনাক্ত করা সম্ভব হলেও তাৎক্ষণিকভাবে তখন তার নাম-পরিচয় জানা যায়নি। পরবর্তীতে পুলিশের বিশেষ টিমের সহায়তায় তাকে শনাক্ত করে পটুয়াখালী থেকে গ্রেপ্তার করা হয়।’

তিনি আরও বলেন, ‘ওই ব্যক্তির নাম রেজওয়ান উদ্দিন অভি। তার বাবার নাম মনোরঞ্জন বসু ও মায়ের নাম বিউটি দেব মিলা। তিনি একজন ধর্মান্তরিত মুসলিম।’

হত্যাকাণ্ডে জড়িতদের রাজনৈতিক পরিচয় প্রসঙ্গে তিনি বলেন, ‘কোনো ব্যক্তির রাজনৈতিক পরিচয় থাকলেও, এই হত্যাকাণ্ডের সঙ্গে রাজনৈতিক কোনো সম্পর্ক পাওয়া যায়নি।’

এই হত্যাকাণ্ডকে ‘অত্যন্ত নারকীয়’ আখ্যা দিয়ে ডিএমপি কমিশনার বলেন, ‘এতে যারা জড়িত, তাদের সবাইকে আইনের আওতায় এনে দৃষ্টান্তমূলক শাস্তি নিশ্চিত করা হবে, যাতে ভবিষ্যতে এ ধরনের ঘটনা আর না ঘটে।’

৯ জুলাই মিটফোর্ড হাসপাতালের ৩ নম্বর ফটকের সামনে নির্মমভাবে খুন হন ভাঙারি ব্যবসায়ী সোহাগ। এ ঘটনার সিসিটিভি ফুটেজ সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে ভাইরাল হলে, তা দেশজুড়ে আলোড়ন সৃষ্টি করে।

ওই ঘটনার পরদিন সংশ্লিষ্ট থানায় একটি হত্যা মামলা হয়। কিছু আসামি ইতোমধ্যে ধরা পড়েছে এবং দ্রুত সময়ের মধ্যে বাকি আসামিদের গ্রেপ্তারেও অভিযান অব্যাহত আছে বলে পুলিশ জানিয়েছে।

Share This Article
Leave a comment

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *