কক্সবাজারের হিমছড়ি সৈকতে গোসল করতে নেমে ডুবে যাওয়া চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয়ের (চবি) নিখোঁজ বাকি দুই শিক্ষার্থীর মধ্যে একজনের মরদেহ উদ্ধার করা হয়েছে। এ ঘটনায় এখনও একজন নিখোঁজ রয়েছেন।
কক্সবাজার ফায়ার সার্ভিস ও সিভিল ডিফেন্সের উপসহকারী পরিচালক তানহারুল ইসলাম জানান, সমুদ্রে নিখোঁজ থাকার প্রায় ২৪ ঘণ্টারও বেশি সময় পর বুধবার সকালে সমিতি পাড়া এলাকার সমুদ্র সৈকত থেকে চবি শিক্ষার্থী আসিফ আহমেদের মরদেহটি উদ্ধার করা হয়। নিহত শিক্ষার্থী বগুড়া সদর উপজেলার নারুলি দক্ষিণ এলাকার রফিকুল ইসলামের ছেলে।
কক্সবাজার ট্যুরিস্ট পুলিশের পরিদর্শক মো. আব্দুল মুকিত বলেন, ‘মরদেহ ভেসে আসার খবর পেয়ে সঙ্গে সঙ্গে আমাদের একটি টিম ঘটনাস্থলে পৌঁছে। পরে আসিফ আহমেদের বড় ভাই সেখানে এসে লাশটি শনাক্ত করেন।’
এর আগে, মঙ্গলবার ভোরে হিমছড়ি পয়েন্ট থেকে চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয়ের ডেভেলপমেন্ট স্টাডিজ বিভাগের ২০২৩-২০২৪ শিক্ষাবর্ষের তিন ছাত্র নিখোঁজ হন। তিন ছাত্রের মধ্যে সাদমান রহমান সাবাবের মরদেহ একইদিনে উদ্ধার করা হয়।
এদিন সি-সেফ লাইফ গার্ড সংস্থার কর্মকর্তা ইমতিয়াজ আহমেদ জানান, সাদমানসহ পাঁচ বন্ধু সোমবার তাদের প্রথম বর্ষের পরীক্ষা শেষ করে কক্সবাজারে বেড়াতে আসেন। মঙ্গলবার সকালে তারা হিমছড়ি সৈকতে যান। সেখানে দু’জন বাঁধের ওপর বসে থাকলেও তিনজন সাগরে গোসল করতে নামেন। এ সময় হঠাৎ ঢেউয়ের তোড়ে তিনজনই গভীর পানিতে তলিয়ে যান। কিছুক্ষণ পর সাদমানের মরদেহ সৈকতে ভেসে আসে।
এ ঘটনায় বগুড়ার দক্ষিণ সনসনিয়া গ্রামের আমিনুল ইসলামের ছেলে অরিত্র হাসান এখনও নিখোঁজ ছিলেন। তার খোঁজে পুলিশ, ফায়ারসার্ভিস ও লাইফগার্ডদের তৎপরতা চলছিল।
স্থানীয় প্রশাসনের পক্ষ থেকে পর্যটকদের সতর্কভাবে সাগরে নামার অনুরোধ জানানো হয়েছে, বিশেষ করে বৃষ্টিপাত ও খারাপ আবহাওয়ার সময়। কর্তৃপক্ষ জানিয়েছে, উদ্ধার কার্যক্রম শেষ না হওয়া পর্যন্ত বিষয়টি গুরুত্বসহকারে পর্যবেক্ষণ করা হবে।