কক্সবাজারের হিমছড়ি সৈকতে গোসলে নেমে চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয়ের (চবি) এক শিক্ষার্থী মারা গেছেন। এ ঘটনায় তার আরও দুই সহপাঠী এখনও নিখোঁজ রয়েছেন।
মঙ্গলবার সকাল ১০টার দিকে হিমছড়ি সমুদ্রসৈকতে এ মর্মান্তিক ঘটনা ঘটে।
নিহত শিক্ষার্থী হলেন, ঢাকার মিরপুর এ/৭ পল্লবী দক্ষিণ এলাকার বাসিন্দা কে এম আনিসুর রহমানের ছেলে সাদমান রহমান সাবাব (২১)। তিনি চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয়ের ডেভেলপমেন্ট স্টাডিজ বিভাগের ২০২৩-২৪ শিক্ষাবর্ষের শিক্ষার্থী ছিলেন।
নিখোঁজ শিক্ষার্থীরা হলেন- বগুড়ার দক্ষিণ সনসনিয়া গ্রামের আমিনুল ইসলামের ছেলে অরিত্র হাসান, এবং বগুড়া সদর উপজেলার নারুলি দক্ষিণ এলাকার রফিকুল ইসলামের ছেলে আসিফ আহমেদ।
সি-সেফ লাইফ গার্ড সংস্থার কর্মকর্তা ইমতিয়াজ আহমেদ জানান, সাদমানসহ পাঁচজন বন্ধু সোমবার তাদের প্রথম বর্ষের পরীক্ষা শেষ করে কক্সবাজারে বেড়াতে আসেন। মঙ্গলবার সকালে তারা হিমছড়ি সৈকতে যান। সেখানে দু’জন বাঁধের ওপর বসে থাকলেও তিনজন সাগরে নেমে গোসল করতে যান। এ সময় হঠাৎ ঢেউয়ের তোড়ে তিনজনই গভীর পানিতে তলিয়ে যান।
তিনি আরও জানান, কিছুক্ষণ পর সাদমানের মরদেহ সৈকতে ভেসে আসে। তবে বাকি দুই শিক্ষার্থীর সন্ধানে ফায়ার সার্ভিস, ট্যুরিস্ট পুলিশ ও লাইফ গার্ড সদস্যরা যৌথভাবে উদ্ধার অভিযান চালাচ্ছেন।
কক্সবাজার ফায়ার সার্ভিস স্টেশনের কর্তব্যরত কর্মকর্তা আসিফ খান বলেন, ‘সাগরে একজনের লাশ ভেসে ওঠার খবর পেয়ে ফায়ার সার্ভিসের একটি দল ঘটনাস্থলে পৌঁছায় এবং উদ্ধার কাজ শুরু করে। নিখোঁজ দুইজনের খোঁজে অভিযান চলছে।’
ট্যুরিস্ট পুলিশের অতিরিক্ত ডিআইজি আপেল মাহমুদ বলেন, ‘নিহত শিক্ষার্থীর নাম সাবাব। তার মরদেহ উদ্ধার করা হয়েছে। বাকি দুই শিক্ষার্থীকে উদ্ধারে টহল ও তল্লাশি অব্যাহত রয়েছে।’
স্থানীয় প্রশাসনের পক্ষ থেকে পর্যটকদের সতর্কভাবে সাগরে নামার অনুরোধ জানানো হয়েছে, বিশেষ করে বৃষ্টিপাত ও খারাপ আবহাওয়ার সময়। কর্তৃপক্ষ জানিয়েছে, উদ্ধার কার্যক্রম শেষ না হওয়া পর্যন্ত বিষয়টি গুরুত্বসহকারে পর্যবেক্ষণ করা হবে।