উদীচী যশোর জেলা সংসদের দুই নেতাকে–রিয়াদুর রহমান ও আব্দুর রহমান মৃধা খোকন–থানায় তুলে নিয়ে গিয়ে হয়রানি এবং হেনস্তার তীব্র নিন্দা ও প্রতিবাদ জানিয়েছে বাংলাদেশ উদীচী শিল্পীগোষ্ঠী।
শনিবার এক বিবৃতিতে উদীচী কেন্দ্রীয় সংসদে সভাপতি অধ্যাপক বদিউর রহমান এবং সাধারণ সম্পাদক অমিত রঞ্জন দে এ প্রতিবাদ জানান। শরিবার এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে এ তথ্য জানানো হয়।
বিবৃতিতে বলা হয়, দেশের সম্পদ, স্বাধীনতা ও সার্বভৌমত্ব রক্ষার আন্দোলনে অংশগ্রহণ করার জন্য এ ধরনের হেনস্তা নিন্দনীয় এবং এর সঙ্গে জড়িতদের দৃষ্টান্তমূলক শাস্তি নিশ্চিত করতে হবে।
নেতৃবৃন্দ আরও জানান, চট্টগ্রাম বন্দর ও নিউমুরিং টার্মিনাল বিদেশিদেরকে ইজারা দেয়া, মিয়ানমারের রাখাইনে কথিত মানবিক করিডোরের নামে দেশকে সাম্রা্রাজ্যবাদী যুদ্ধে জড়ানোর চক্রান্ত এবং মব হামলা বন্ধ ও জননিরাপত্তা নিশ্চিতের দাবিতে সারাদেশে উদীচীর বিভিন্ন জেলা ও শাখার শিল্পী-কর্মীরা নানা কর্মসূচি নিয়ে মাঠে সোচ্চার ভূমিকা পালন করছেন। এরই ধারাবাহিকতায় ‘স্বাধীনতা, সার্বভৌমত্ব ও জাতীয় সম্পদ রক্ষা আন্দোলন’ ব্যানারে বুধবার বিভিন্ন প্রগতিশীল রাজনৈতিক দল ও সাংস্কৃতিক সংগঠনের উদ্যোগে যশোর টাউন হল ময়দানে প্রতিবাদী সমাবেশ, সংগীত ও মশাল মিছিল অনুষ্ঠিত হয়। উদীচী যশোর জেলা সংসদের শিল্পী-কর্মীরাও সক্রিয়ভাবে সেখানে অংশগ্রহণ করেন।
কিন্তু, সেই সমাবেশে অংশগ্রহণ করার অভিযোগে ৪ জুলাই রাতে উদীচী যশোর জেলা সংসদের সম্পাদকম-লীর সদস্য, রিয়াদুর রহমান ও সাবেক সমাজকল্যাণ বিষয়ক সম্পাদক আব্দুর রহমান মৃধা খোকনকে তুলে নিয়ে যায় পুলিশ। তাদের অপরাধ তারা চট্টগ্রাম বন্দর বিদেশিদের কাছে লিজ দেয়ার বিরোধিতা করেছিল, রাখাইনে জাতিসংঘের মানবিক করিডোরের মাধ্যমে দেশকে ছায়াযুদ্ধের মধ্যে ঠেলে দেয়ার বিরোধিতা করেছিল।
অবিলম্বে তাদের নিঃশর্ত মুক্তির দাবিও জানান তারা। একই সঙ্গে রিয়াদ ও খোকনকে হেনস্তার সঙ্গে জড়িত পুলিশ সদস্যদের দৃষ্টান্তমূলক শাস্তি নিশ্চিতের দাবিও জানান নেতৃবৃন্দ।