যে বিষয়ে দ্বিমতে বিএনপি-জামায়াত

টাইমস রিপোর্ট
3 Min Read
বুধবার (২ জুলাই) জাতীয় ঐকমত্য কমিশনের আলোচনা। ছবি: পিআইডি
Highlights
  • ‘তত্ত্বাবধায়কের মেয়াদের ব্যাপারে কমিশন তিন মাস বলছে, জামায়াতে ইসলামী ৪ মাস বলেছে।’

তত্ত্বাবধায়ক সরকার পুনঃপ্রতিষ্ঠার ব্যাপারে একমত হলেও মেয়াদকাল ও কার্যপরিধি নিয়ে সুষ্পষ্ট ভিন্নমত পোষণ করেছে বিএনপি ও জামায়াতে ইসলামী।

বুধবার রাজধানীর বেইলি রোডের ফরেন সার্ভিস একাডেমিতে রাজনৈতিক দলগুলোর সঙ্গে কমিশনের দ্বিতীয় দফার ৮ম দিনের বৈঠক শেষে দুই দলের প্রতিনিধিদের বক্তব্যে এ ভিন্নতা দেখা যায়।

জাতীয় ঐকমত্য কমিশনে এদিনের আলোচনায় নির্ধারিত তিনটি বিষয়ের মধ্যে দুইটি বিষয়ে আলাপ হয় রাজনৈতিক দলগুলোর মধ্যে। তত্ত্বাবধায়ক সরকারের ব্যাপারে দ্বিমত নেই কোনো দলের। তবে মতের ভিন্নতা আছে এর কার্যপরিধি ও মেয়াদকাল নিয়ে।

বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য সালাহউদ্দিন আহমেদ তত্ত্বাবধায়ক সরকারের মেয়াদকাল সম্পর্কে জানান, ‘তত্ত্বাবধায়ক সরকারে মেয়াদ ৯০ দিন থাকুক তা আমাদের দলের পক্ষ থেকে প্রস্তাব। তবে যদি দৈবদুর্বিপাকের কারণে আরও ১ মাসের বিধান রাখা যেতে পারে। তবে ৯০ দিনে স্থায়ী করে তারপরে সেটা রাখা যেতে পারে।’

কার্যপরিধি সম্পর্কে তিনি বলেন, ‘স্থানীয় সরকার নির্বাচনের জন্য তো তত্ত্বাবধায়ক সরকারের বিধান লেখা নেই। নির্বাচন কমিশনের এখতিয়ারের মধ্যে সাংবিধানিক আদেশ দুইটা-রাষ্ট্রপতি ও জাতীয় সংসদ নির্বাচন। সেটা তো এখনো বহাল আছে, কোনো সংশোধনী আসেনি।’

স্থানীয় সরকারের ৪টি স্তর উল্লেখ করে তিনি বলেন, ‘এমন হলে তো তত্ত্বাবধায়ক সরকারকে ৫ বছরও থাকতে হবে। এটা খুবই অবাস্তব। আমরা মনে করি না স্থানীয় সরকার নির্বাচন তত্ত্বাবধায়কের কর্ম হতে পারে।’

অপরদিকে, জামায়াতে ইসলামীর নায়েবে আমীর সৈয়দ আব্দুল্লাহ মো. তাহের বলেন, ‘স্থানীয় সরকার ও জাতীয় সরকার এই দুটোই তত্ত্বাবধায়ক সরকারের মাধ্যমে হবে এটা আমাদের দাবি এবং এটা আমাদের অভিজ্ঞতা যেমনি তত্ত্বাবধায়ক সরকার না হলে জাতীয় নির্বাচন কোনো নির্বাচনই হয় না, সেরকমভাবে স্থানীয় সরকার নির্বাচনও কোনো নির্বাচন হয় না।’

মেয়াদের ব্যাপারে তিনি বলেন, ‘তত্ত্বাবধায়কের মেয়াদের ব্যাপারে কমিশন তিন মাস বলছে, জামায়াতে ইসলামী ৪ মাস বলেছে।’

নির্বাচনী এলাকা নির্ধারণের ব্যাপারে সর্বসম্মত ঐকমত্য হয় রাজনৈতিক দলগুলোর মধ্যে। নির্বাচন এলাকার সীমানা নির্ধারণ বিষয়ে আশু এবং দীর্ঘ মেয়াদে ব্যবস্থা গ্রহণের বিষয়ে আলাপ হয়েছে। আশু ব্যবস্থা হিসেবে ত্রয়োদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনের জন্য নির্বাচন কমিশনের সহায়তায় যথাযথ দক্ষতা সম্পন্ন ব্যক্তিদেরকে নিয়ে একটি বিশেষায়িত কমিটি গঠন এবং সেই কমিটির পরামর্শক্রমে সংসদীয় এলাকা নির্ধারণ করা।

জাতীয় ঐকমত্য কমিশনের সঙ্গে আলোচনায় বাংলাদেশ জাতীয়তাবাদী দল (বিএনপি), বাংলাদেশ জামায়াতে ইসলামী, জাতীয় নাগরিক পার্টি (এনসিপি)সহ ৩০টি রাজনৈতিক দলের প্রতিনিধিরা অংশগ্রহণ করেন।

বৈঠকে সভাপতিত্ব করছেন জাতীয় ঐকমত্য কমিশনের সহ-সভাপতি অধ্যাপক আলী রীয়াজ। এছাড়া কমিশনের সদস্য সফর রাজ হোসেন, বিচারপতি এমদাদুল হক, ড. বদিউল আলম মজুমদার ও ড. আইয়ুব মিয়াও উপস্থিত ছিলেন।

Share This Article
Leave a comment

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *