আন্তর্জাতিক গণমাধ্যমে হাসিনার দণ্ড

টাইমস রিপোর্ট
2 Min Read
ক্ষমতাচ্যুত প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। ছবি: বাসস
Highlights
  • ভারতের গণমাধ্যম এ বিষয়ে ব্যাপক প্রতিবেদন করেছে। ইকনমিক টাইমস রায়টিকে ঐতিহাসিক গুরুত্বের বিচারে দেখেছে।

বাংলাদেশের আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনালে ক্ষমতাচ্যুত প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার দণ্ডাদেশ বৈশ্বিক গণমাধ্যমের দৃষ্টি আকর্ষণ করেছে। ২০২৪ সালের ৫ আগস্ট ক্ষমতাচ্যুত হওয়ার পর এটি তার প্রথম দণ্ড।

বর্তমানে নির্বাসিত অবস্থায় থাকা শেখ হাসিনাকে আদালত অবমাননার অভিযোগে ছয় মাসের কারাদণ্ড দিয়েছে ট্রাইব্যুনাল। বছর শুরুর দিকে ফাঁস হওয়া একটি ফোনালাপে বিচারিক প্রক্রিয়ার প্রতি তার মন্তব্য বিচার বিভাগের মর্যাদা ক্ষুণ্ন করেছে বলে এ রায়ে উল্লেখ করা হয়। তার দেশে ফিরে আসা কিংবা আত্মসমর্পণের পর থেকে এই রায় কার্যকর হবে।

সংবাদমাধ্যম রয়টার্স তাদের শিরোনামে লিখেছে: ‘বাংলাদেশের সাবেক প্রধানমন্ত্রী হাসিনাকে অনুপস্থিতিতে আদালত অবমাননার দায়ে ছয় মাসের কারাদণ্ড’। তারা ফাঁস হওয়া ফোনালাপ, রাজনৈতিক হস্তক্ষেপের অভিযোগ ও রাজনৈতিক পতনের পটভূমি বিশ্লেষণ করে।

ব্লুমবার্গ এই রায়কে ক্ষমতাচ্যুত হওয়ার পর হাসিনার বিরুদ্ধে প্রথম আনুষ্ঠানিক দণ্ড বলে বর্ণনা করেছে এবং তার দেশে ফিরে আসা সাপেক্ষে রায় কার্যকরের বিষয়টি তুলে ধরেছে।

ইউএস নিউজ অ্যান্ড ওয়ার্ল্ড রিপোর্ট জানিয়েছে, এই রায় হাসিনার বিরুদ্ধে আগে থেকেই থাকা পাঁচটি গ্রেপ্তারি পরোয়ানার মধ্যে একটি নতুন সংযোজন, যা আদালত অবমাননা ও মানবতাবিরোধী অপরাধের মামলাগুলোর বৃহত্তর অভিযোজনের অংশ।

ভারতের গণমাধ্যম এ বিষয়ে ব্যাপক প্রতিবেদন করেছে। ইকনমিক টাইমস রায়টিকে ঐতিহাসিক গুরুত্বের বিচারে দেখেছে।

টাইমস অব ইন্ডিয়া ও বিজনেস টুডে ট্রাইব্যুনালের বিচারপতিদের গঠন ও বিতর্কিত ফোনালাপের বিষয়বস্তু বিশ্লেষণ করেছে।

পাকিস্তানের ডন রায়টিকে একটি ‘মাইলফলক’হিসেবে আখ্যা দিয়ে বলেছে, হাসিনা দেশে ফিরলে এই রায় কার্যকর হবে বলে ট্রাইব্যুনাল হুঁশিয়ারি দিয়েছে।

ভারতের দক্ষিণপন্থী প্রকাশনা ‘স্বরাজ্য’ বাংলাদেশের গণমাধ্যমের উদ্ধৃতি দিয়ে প্রতিবেদন তৈরি করেছে, যেখানে অডিও ট্রান্সক্রিপ্টের রাজনৈতিক তাৎপর্য ও আইনের শাসন প্রতিষ্ঠার ওপর ট্রাইব্যুনালের গুরুত্ব তুলে ধরা হয়েছে।

ঢাকায় চলমান ঘটনাবলির ওপর আন্তর্জাতিক গণমাধ্যমের নজর আরও তীব্র হয়েছে। বুধবারের রায় শুধু হাসিনার আইনি লড়াই নয়, বরং হাসিনা-পরবর্তী বাংলাদেশের রাজনৈতিক বাস্তবতায় একটি মোড় বদলের ইঙ্গিত দেয়।

২০০৭–২০০৮ সালের তত্ত্বাবধায়ক সরকারের সময় হাসিনার বিরুদ্ধে ঘুষ ও চাঁদাবাজিসহ একাধিক অভিযোগ আনা হয়েছিল। তবে, এর কোনোটিই দণ্ডে রূপ নেয়নি—অনেক মামলা খারিজ, স্থগিত অথবা ২০০৯ সালে তিনি পুনরায় ক্ষমতায় ফেরার পর নিষ্পত্তি হয়।

Share This Article
Leave a comment

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *