তরুণ নির্মাতা রাশিদ পলাশ একটু ভিন্ন টাইপের গল্প বলতে পছন্দ করেন। ‘পদ্মাপুরাণ’ ও ‘ময়ূরাক্ষ্মী’ পর তিনি নির্মাণ করেছেন ‘রঙবাজার’। সিনেমাটির প্রধান চরিত্রে অভিনয় করেছেন তিন জন নায়িকা–তানজিকা আমিন, পিয়া জান্নাতুল ও মৌসুমী হামিদ।
সোমবার দুপুরে টাইমস অব বাংলাদেশকে পলাশ বলেন, ‘আমি বরাবরই নারীপ্রধান গল্প বলতে পছন্দ করি। আমার এ সিনেমায় শুধু তারা তিন জন নন, অধিকাংশ শিল্পীই নারী।’
‘রঙবাজার’-এর গল্প একটি পতিতা পল্লীকে ঘিরে। এটি মূলত বিলুপ্ত নারায়ণগঞ্জের টান বাজারের পতিতা পল্লীকে ঘিরে। তিনি বলেন, ‘একটি পল্লীকে ঘিরে গড়ে ওঠা রাজনৈতিক, সামাজিক ও অর্থনৈতিক বিভিন্ন বিষয়ের গল্প বলেছি আমরা। এতে শুধু নারীদের সংগ্রাম নয়, দুটি রাজনৈতিক পরিবারের দ্বন্দ্বের গল্প তুলে আনার চেষ্টা করেছি।’
দেশের বিভিন্ন পল্লী উচ্ছেদের কারণে সমাজে এর প্রভাব কী হয়েছে তাও তুলে আনা হয়েছে বলে জানালেন পলাশ। তিনি বলেন, ‘এ ধরনের পল্লীগুলোকে সামাজিকভাবে নেতিবাচক দৃষ্টিতে দেখা হলেও এর কিন্তু নানামুখী প্রভাব ছিল। সমাজে কিন্তু এক ধরনের ব্যালেন্স বজায় রেখেছিল এ পল্লীগুলো।’ সিনেমাটির কাহিনি ও চিত্রনাট্য লিখেছেন গোলাম রাব্বানী।
তানজিকা, মৌসুমী ও পিয়া ছাড়াও সিনেমাটিতে অভিনয় করেছেন নাজনিন হাসান চুমকি, শম্পা রেজা, শাহজাহান সম্রাট ও লুৎফর রহমান জর্জ।
সিনেমাটির শুটিং হয়েছে দৌলতিয়া পল্লীতে। শুটিং শুরু হয়েছিল ২০২৩ এর শেষের দিকে। সেখানে শুটিংয়ের অভিজ্ঞতা জানিয়ে পলাশ বলেন, ‘টানা শুটিং করেছিলাম দৌলতদিয়ায়। দেশের সবচেয়ে বড় যৌনপল্লীতে আমরা দীর্ঘদিন শুট করেছি। সব অভিনয় শিল্পীরা সেখানেই ছিলেন। সেখানে যাওয়ার আগে শিল্পীদের মধ্যে একটা সাসপেন্স কাজ করছিল। কী পরিস্থিতির সম্মুখীন হতে হয় সেটা নিয়ে তারা চিন্তিত ছিলেন। কিন্তু আমাকে খুব অবাক করে দিয়ে অভিনয় শিল্পীরা খুব অল্প সময়েই তাদের সঙ্গে মিশে যান। সেখানকার মেয়েরা আমার শিল্পীদের অনেক যত্নে রেখেছিলেন।’
গেল সপ্তাহে সিনেমাটি সেন্সর বোর্ডে জমা পড়েছে। দুর্গাপূজায় সিনেমাটি মুক্তির পরিকল্পনা।