সংস্কারের অভাবে চলাচলের অনুপযোগী হয়ে পড়েছে পাবনা শহরের বেশিরভাগ সড়ক।
স্থানীয়দের অভিযোগ, পৌর শহরের খানাখন্দে ভরা পথে প্রতিনিয়তই ঘটছে দুর্ঘটনা, সামান্য বৃষ্টিতেই হয় জলাবদ্ধতা। এতে দুর্ভোগ পোহাচ্ছেন বাসিন্দারা। সড়কগুলো দ্রুত সংস্কারের দাবি উঠলেও কোনো ব্যবস্থা নিচ্ছে না সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষ।
পাবনা শহরের কয়েকটি সড়ক ঘুরে দেখা যায়, শহরের প্রবেশপথ মুজাহিদ ক্লাব থেকে পাবনা শহর পর্যন্ত সড়কটি একেবারেই চলাচলের অনুপযোগী। খানাখন্দ থাকা ও ড্রেনেজ ব্যবস্থা ভেঙ্গে পড়ায় সামান্য বৃষ্টিতেই সেখানে হচ্ছে জলাবদ্ধতা।
এছাড়া আতাইকুলা সড়ক, বড়বাজার সড়ক, শালগাড়িয়া গোরস্থান সড়কসহ বেশ কয়েকটি সড়কের অবস্থাও বেহাল। রাস্তায় বিটুমিন আর খোয়া উঠে সৃষ্টি হয়েছে অসংখ্য গর্তের। ঝুঁকি নিয়েই চলছে যানবাহন। আর প্রতিনিয়তই ঘটছে ছোট-বড় দুর্ঘটনা।
স্থানীয়দের দাবি, বছরের পর বছর এমন দুর্ভোগ থাকলেও নজর দেয়নি কেউ। দ্রুত এসব রাস্তা সংস্কারের পাশাপাশি ড্রেনেজ ব্যবস্থার উন্নতি করার দাবি জানান তারা।

গুরুত্বপূর্ণ আরেকটি সড়ক হলো পাবনা শহর থেকে জেনারেল হাসপাতাল হয়ে বাইপাস সড়ক। এই সড়কটিরও বেহাল দশা।
পাবনা শাপলা প্লাস্টিক মোড়ের ব্যবসায়ী সাইফুল ইসলাম বলেন, ‘পাবনা পৌর শহরের মধ্যে হাসপাতাল রোড এবং আতাইকুলা রোডের অবস্থা সবচেয়ে বেশি খারাপ। এ সব রাস্তা দ্রুত নির্মাণ করতে হবে। না হলে মানুষকে সীমাহীন দুর্ভোগ পোহাতে হচ্ছে। বর্তমানে কোন ধরনের উন্নয়ন কাজ হচ্ছে না।’
আরিফ আহমেদ নামের এক পথচারী বলেন, ‘রোগীদের চলাচলে সমস্যা হচ্ছে। বিশেষ করে গর্ভবতী রোগীদের জন্য। শহরের ভাঙা সড়কগুলো দ্রুত মেরামতের দাবি জানাই।’
এ বিষয়ে দৃষ্টি আকর্ষণ করা হলে পাবনা পৌরসভার সহকারী প্রকৌশলী ওবায়েল উল হক পৌরসভার ফান্ডে অর্থ সংকটের কথা জানান। গুরুত্বপূর্ণ কয়েকটি সড়কের টেন্ডার দেওয়ার চিন্তা-ভাবনা চলছে বলেও জানান তিনি।
পাবনা পৌরসভার তথ্য মতে,বর্তমানে পাবনা পৌরসভার মধ্যে মোট পাকা রাস্তা রয়েছে ২৪০ কিলোমিটার। যার প্রায় অর্ধেকই খানা-খন্দে ভরা। আর এসব রাস্তায় মোট ড্রেন রয়েছে ১১৯ কিলোমিটার।