বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য আমির খসরু মাহমুদ চৌধুরী বলেছেন, গণঅধিকার পরিষদের সঙ্গে বৈঠকে আসন ভাগাভাগি নিয়ে এখনো কোনো আলোচনা হয়নি।
তিনি বলেন, ‘এ বৈঠকে আলোচনার মূল বিষয় ছিল চলমান রাজনৈতিক পরিস্থিতি, সম্ভাব্য ফেব্রুয়ারি নির্বাচন ও গণতান্ত্রিক সংস্কারের যৌথ আন্দোলন।’ বিএনপির লিয়াজোঁ কমিটি এদিন গণঅধিকার পরিষদের সঙ্গে বৈঠকে বসে।
পরে আমির খসরু সাংবাদিকদের বলেন, ‘আমরা যারা দীর্ঘদিন ধরে এক সঙ্গে আন্দোলন করছি, কীভাবে ঐক্যবদ্ধভাবে এগিয়ে যাব—সেটিই ছিল এ আলোচনার মূল বিষয়।’
উভয় পক্ষ আলোচনা নিয়ে সন্তুষ্ট এবং ৩১ দফা সংস্কার এজেন্ডা বাস্তবায়নে ঐক্যবদ্ধ থাকার বিষয়ে একমত হয়েছে, যোগ করেন তিনি।
বিএনপির এই নেতা আরও বলেন, ‘আমরা সবসময়ই একে অপরের সঙ্গে আমাদের পরিকল্পনা ভাগ করে নিই। লন্ডনে তারেক রহমান ও প্রধান উপদেষ্টার সঙ্গে বৈঠকের বিষয়টিও আমরা আমাদের মিত্রদের জানিয়েছি।’
বিরোধীদলগুলোর মধ্যে মতপার্থক্য নিয়ে খসরু বলেন, ‘সব বিষয়ে শতভাগ মতৈক্য থাকা সম্ভব নয়। তবে মূল সংস্কারগুলো নিয়ে শক্তিশালী ঐক্য রয়েছে। যেখানে মতৈক্য আছে, সেখানে সংস্কার হবে। যেখানে নেই, সেখানে জনগণ নির্বাচনের মাধ্যমে সিদ্ধান্ত নেবে।’
আমির খসরু বলেন, ‘নির্বাচনসূচি ঘোষণার পরেই আসন ভাগাভাগি নিয়ে আলোচনা শুরু হবে। আমরা এখনো সেই পর্যায়ে পৌঁছাইনি। যখন নির্বাচন প্রক্রিয়া শুরু হবে, তখন এসব বিষয়ে সব মিত্রদের সঙ্গে আলোচনা করা হবে।’
ইশরাক হোসেনের মেয়র পদ নিয়ে আইনি অবস্থান প্রসঙ্গে খসরু বলেন, ‘আদালত স্পষ্ট রায় দিয়েছে। নির্বাচন কমিশনও এটি অনুমোদন করেছে। আমরা আইনের শাসনে বিশ্বাস করি। সরকারের কাছ থেকে সেই অনুযায়ী ব্যবস্থা গ্রহণের প্রত্যাশা করি।’
এদিকে সাবেক প্রধান নির্বাচন কমিশনার কাজী হাবিবুল আউয়ালের ২০২৪ সালের নির্বাচন ‘ডামি নির্বাচন’ ছিল— এমন মন্তব্যের জবাবে খসরু বলেন, ‘এখন অনেকে ভালো ভালো কথা বলছেন। কিন্তু এতে আগের ক্ষতি পূরণ হবে না। এখন এসব বলে আর লাভ নেই।’