২৪’র গণ অভ্যুত্থানের প্রথম শহীদ আবু সাঈদের স্মরণে ১৬ জুলাইকে ‘শহীদ আবু সাঈদ দিবস’ এবং অভ্যুত্থানের পর গঠিত নতুন সরকারের শপথগ্রহণের দিন ৮ আগস্টকে ‘নতুন বাংলাদেশ দিবস’ হিসেবে ঘোষণা করেছে অন্তর্বর্তী সরকার।
বুধবার মন্ত্রিপরিষদ বিভাগ থেকে জারি করা এক পরিপত্রে এ সিদ্ধান্ত জানানো হয়। তথ্য বিবরণীতে বলা হয়, প্রতিবছর যথাযথভাবে এসব দিবস পালনের জন্য সংশ্লিষ্ট সব মন্ত্রণালয়, বিভাগ ও সংস্থাকে অনুরোধ করা হয়েছে।
সরকারের পক্ষ থেকে জানান হয়েছে, ৫ আগস্টকে ‘জুলাই গণ-অভ্যুত্থান দিবস’ হিসেবে ‘ক’ শ্রেণিভুক্ত দিবস হিসেবে তালিকাভুক্ত করা হয়েছে। অন্যদিকে, ১৬ জুলাই ও ৮ আগস্ট ‘খ’ শ্রেণিভুক্ত দিবস হিসেবে পালন করা হবে।
২০২৪ সালের জুলাই মাসে কোটা সংস্কারের দাবিতে শুরু হওয়া ছাত্র-জনতার অভ্যুত্থানে রংপুরে পুলিশের গুলিতে নিহত হন বেগম রোকেয়া বিশ্ববিদ্যালয়ের ইংরেজি বিভাগের শিক্ষার্থী আবু সাঈদ। ১৬ জুলাই সংঘটিত এ ঘটনার মধ্য দিয়েই শুরু হয় আন্দোলনের রক্তাক্ত অধ্যায়। আবু সাঈদকে অভ্যুত্থানের প্রথম শহীদ হিসেবে স্মরণ করে দিবসটি রাষ্ট্রীয় মর্যাদা দেওয়া হয়েছে।
আন্দোলনের চূড়ান্ত রূপ পায় ৫ আগস্ট, যখন গণ–চাপের মুখে তৎকালীন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা পদত্যাগ করে দেশত্যাগে বাধ্য হন। এর তিন দিন পর, ৮ আগস্ট দেশের দায়িত্ব গ্রহণ করেন নোবেলজয়ী অধ্যাপক মুহাম্মদ ইউনূসের নেতৃত্বাধীন অন্তর্বর্তী সরকার। দেশের পুনর্গঠনের সূচনাদিন হিসেবেই ৮ আগস্টকে ‘নতুন বাংলাদেশ দিবস’ হিসেবে ঘোষণা করা হয়েছে।
এই তিনটি দিবসকে কেন্দ্র করে রাষ্ট্রীয় অনুষ্ঠান ও শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানগুলোতে আলোচনা সভা, শ্রদ্ধা নিবেদন এবং সচেতনতামূলক কার্যক্রম আয়োজনের প্রস্তুতি নিচ্ছে সরকার।