বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য সালাহউদ্দিন আহমেদ বলেছেন, গণপিটুনির সংস্কৃতিকে বিএনপি সমর্থন করে না। আমরা এই ধরনের বিষাক্ত সংস্কৃতি বা জনতার বিচারে বিশ্বাস করি না।
সাবেক প্রধান নির্বাচন কমিশনার কেএম নূরুল হুদাকে গণপিটুনির ঘটনায় বিএনপির কোনো কর্মী জড়িত থাকলে তার বিরুদ্ধে শাস্তিমূলক ব্যবস্থা নেওয়া হবে বলেও জানান তিনি।
সোমবার সংবাদ সংস্থা ইউএনবিকে সালাহউদ্দিন আহমেদ বলেন, ‘আমরা গণপিটুনির সংস্কৃতিতে বিশ্বাস করি না, আমরা আইনের শাসন প্রতিষ্ঠার জন্য নিরলসভাবে সংগ্রাম করে আসছি। আমরা চাই দেশে আইনের শাসন প্রতিষ্ঠিত হোক।’
নূরুল হুদার গ্রেপ্তার প্রসঙ্গে তিনি বলেন,’তার উপর যে অমানবিক আচরণ করা হয়েছে, আমরা তা সমর্থন করি না। এটি একটি বিচ্ছিন্ন ঘটনা। যদি বিএনপির কোনো নেতা বা কর্মী এতে জড়িত থাকেন, তাহলে আমরা তদন্তের পর শাস্তিমূলক ব্যবস্থা নেব। এটি আমাদের স্পষ্ট অবস্থান।’
‘গ্রেপ্তার ও বিচারের ক্ষেত্রে যথাযথ আইনি প্রক্রিয়া অনুসরণ করতে হবে। বিএনপি চায় প্রতিটি ব্যক্তি, সে যত গুরুতর অপরাধীই হোক না কেন, তিনি তার আইনি ও সাংবিধানিক অধিকার ভোগ করুক।’
নুরুল হুদা কমিশনের অধীনে ২০১৮ সালের জাতীয় নির্বাচন হয়েছিল। এ ভোট নিয়ে অনেকের ক্ষোভ রয়েছে।
বিএনপি নেতা সালাহউদ্দিন নির্বাচন নিয়ে হুদার ভূমিকায় তীব্র সমালোচনা করেন। তিনি বলেন, ‘নুরুল হুদা বাংলাদেশের গণতন্ত্র ধ্বংস এবং নির্বাচন ব্যবস্থাকে সম্পূর্ণরূপে ধ্বংস করার জন্য দায়ী কয়েকজন ব্যক্তির মধ্যে একজন।’
‘শেখ হাসিনার ফ্যাসিবাদী শাসনকে দীর্ঘায়িত করার জন্য তিনিসহ আরও কয়েকজন ব্যক্তি দায়ী। তারা রাষ্ট্রীয় সাংবিধানিক প্রতিষ্ঠানকে সম্পূর্ণরূপে দুর্নীতিগ্রস্ত এবং ধ্বংস করেছেন।’
রোববার রাতে সাবেক সিইসি নুরুল হুদার রাজধানীর উত্তরার বাসভবনে একদল জনতা হামলা করে। গণপিটুনির পর তাকে পুলিশে সোপর্দ করা হয়।
সামাজিক মাধ্যমে ভাইরাল হওয়া একটি ভিডিওতে দেখা গেছে, নুরুল হুদা ঘটনার সময় সাদা টি-শার্ট এবং লুঙ্গি পরে ছিলেন। তাকে বাসা থেকে বের করে গলায় জুতার মালা দেয়া হয়। এক পর্যায়ে জুতা দিয়ে তার মুখে আঘাত করা হয়।