যুক্তরাষ্ট্র ও ইসরায়েলের হামলার মুখে বাংকারে আত্মগোপন করেছেন ইরানের সর্বোচ্চ নেতা আয়াতুল্লাহ আলি খামেনি। সরাসরি যোগাযোগ বন্ধ করে কেবল বিশ্বস্ত দূতের মাধ্যমে সামরিক ও রাজনৈতিক নেতাদের সঙ্গে যোগাযোগ রাখছেন তিনি।
নিউইয়র্ক টাইমসকে দেওয়া তথ্যে ইরানের কর্মকর্তারা জানান, যদি শীর্ষ নেতৃত্বে কেউ নিহত হন, তাহলে যেন শৃঙ্খলা রক্ষা করা যায়, সে জন্য খামেনি বিকল্প নেতৃত্বের তালিকা তৈরি করেছেন। এমনকি নিজের মৃত্যুর পরিস্থিতিতে দ্রুত উত্তরসূরি নির্বাচন নিশ্চিত করতে তিনি তিনজন জ্যেষ্ঠ নেতার নামও অনুমোদন করেছেন।
তেহরানের মতে, ইসরায়েলের এ হামলা ১৯৮০–৮৮ সালের ইরান-ইরাক যুদ্ধের পর সবচেয়ে বড় সামরিক আগ্রাসন। রাজধানীতে ভয়াবহ ক্ষয়ক্ষতি হলেও ইরান দ্রুত পাল্টা জবাব দিতে শুরু করেছে। প্রতিদিন ইসরায়েলের বিভিন্ন স্থানে ড্রোন ও ক্ষেপণাস্ত্র হামলা চালানো হচ্ছে।
তবে এর মধ্যেও ইরানের নেতৃত্বে দৃশ্যমান কোনো ভাঙন নেই। সিদ্ধান্ত গ্রহণ চলছে খামেনিকেন্দ্রিকভাবে। গোয়েন্দা মহলে শঙ্কা তৈরি হয়েছে অভ্যন্তরীণ অনুপ্রবেশ ও গুপ্তচর হামলা নিয়ে। মোবাইল ফোনসহ সব ইলেকট্রনিক যন্ত্র নিষিদ্ধ করা হয়েছে, উচ্চপদস্থদের বাংকারে অবস্থানের নির্দেশ দেওয়া হয়েছে।
ইসরায়েলি হামলা দেশের ভেতর জাতীয়তাবাদী আবেগ উসকে দিয়েছে। সাধারণ মানুষ, তারকারা, এমনকি সরকারের সমালোচকেরাও একত্রে ইসরায়েলের বিরুদ্ধে অবস্থান নিয়েছেন।