দেশের বিভিন্ন জেলায় বৃষ্টি বলয় ‘রিমঝিম’ এর প্রভাবে বাড়তে শুরু করেছে নদ-নদীর পানি। চট্টগ্রামে অব্যাহত থাকতে পারে ভারী বর্ষণ। এতে করে দেশের বিভিন্ন জেলায় বন্যার শঙ্কা দেখা দিয়েছে।
বাংলাদেশ ওয়েদার অবজারভেশন টিম (বিডব্লিউওটি) তাদের ওয়েবসাইটে এক পূর্বাভাসে জানিয়েছে, রাজশাহী, রংপুর, ময়মনসিংহ, সিলেট ও চট্টগ্রাম বিভাগে এবং ঢাকা বিভাগের অনেক এলাকায় নিয়মিত বৃষ্টিপাত থাকতে পারে। এসব এলাকার কোথাও কোথাও ভারী বর্ষণ হতে পারে।
অন্যদিকে, দক্ষিণ-পশ্চিম মৌসুমি বায়ুর সক্রিয়তা এবং উত্তর বঙ্গোপসাগরে প্রবল অবস্থার কারণে সারাদেশে ভারি থেকে অতি ভারি বৃষ্টির পূর্বাভাস দিয়েছে আবহাওয়া অধিদপ্তর।
বৃহস্পতিবার আবহাওয়াবিদ মো. শাহীনুল ইসলামের সই করা সকাল ৯টা থেকে পরবর্তী ১২০ ঘণ্টার আবহাওয়ার পূর্বাভাসে এ তথ্য দেওয়া হয়।
পূর্বাভাসে বলা হয়, আগামী ৫ দিন দেশের বিভিন্ন স্থানে বৃষ্টিপাতের প্রবণতা অব্যাহত থাকতে পারে।
আবহাওয়া দপ্তর জানিয়েছে, গাঙ্গেয় পশ্চিমবঙ্গ এবং তৎসংলগ্ন বাংলাদেশের দক্ষিণ-পশ্চিমাঞ্চল এলাকায় অবস্থানরত সুস্পষ্ট লঘুচাপটি উত্তরপশ্চিম দিকে অগ্রসর হয়ে বর্তমানে উত্তরপূর্ব ঝাড়খন্ড এবং তৎসংলগ্ন গাঙ্গেয় পশ্চিমবঙ্গ এলাকায় অবস্থান করছে। এর একটি বর্ধিতাংশ উত্তর বঙ্গোপসাগর পর্যন্ত বিস্তৃত রয়েছে। মৌসুমি বায়ুর অক্ষ বিহার, সুস্পষ্ট লঘুচাপের কেন্দ্রস্থল ও বাংলাদেশের দক্ষিণাঞ্চল হয়ে আসাম পর্যন্ত বিস্তৃত রয়েছে। মৌসুমি বায়ু বাংলাদেশের ওপর সক্রিয় এবং উত্তর বঙ্গোপসাগরে প্রবল অবস্থায় রয়েছে।
বৃষ্টিবলয় রিমঝিমের প্রভাবে ইতোমধ্যে দেশের বিভিন্ন নদ-নদীর পানি বাড়তে শুরু করেছে। সুনামগঞ্জের সবগুলো নদীর পানি বেড়েছে। প্লাবিত হয়েছে বেশ কয়েকটি গ্রাম। মেঘালয় ও আসামে ভারী বৃষ্টি ও পাহাড়ী ঢলের প্রভাবে শেরপুর, জামালপুরে নদীগুলোতে বেড়েছে পানি। কিছু স্থানে তৈরি হয়েছে জলাবদ্ধতা।
ক্রমাগত ভারী বৃষ্টির প্রভাবে চট্টগ্রামের বিভিন্নস্থানে তৈরি হয়েছে জলাবদ্ধতা। বান্দরবান, খাগড়াছড়ি ও রাঙামাটিতে পাহাড় ধসের আশঙ্কা। কয়েকদিনে বৃষ্টিতে বেড়েছে সাঙ্গু ও মাতামুহুরী নদীর পানি। পযর্টকদের জন্য প্রশাসনের উদ্যেগে নেয়া হয়েছে বাড়তি নিরাপত্তা।
তিনদিন ধরে মংলা ও সুন্দরবন এলাকায় থেমে থেকে বৃষ্টি হচ্ছে। বন্ধ রয়েছে বন্দরে কন্টেইনার হ্যান্ডেলিং। খুলনা শহরের বিভিন্নস্থানে তৈরি হয়েছে জলাবদ্ধতা।
টাঙ্গাইলে যমুনা নদীর ভূয়াপুর ও গোপালপুর অংশে বাড়ছে যমুনা নদীর পানি। এতে পার্শ্ববর্তী কয়েকটি গ্রামে তৈরি হয়েছে বন্যা আশঙ্কা।