দেশে করোনার প্রকোপ বাড়ার প্রবণতায় হাসপাতালগুলোতে সীমিত পরিসরে কোভিড পরীক্ষা চালুর সিদ্ধান্ত নিয়েছে সরকার। বুধবার স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের সংক্রামক রোগ নিয়ন্ত্রণ শাখার (সিডিসি) লাইন ডিরেক্টর হালিমুর রশীদ সাংকাদিকদের এ তথ্য জানিয়েছেন।
তিনি বলেন, প্রাথমিকভাবে যেসব মেডিকেল কলেজ ও জেলা হাসপাতালে আরটি-পিসিআর ল্যাব রয়েছে, সেখানে এই পরীক্ষা শুরু হবে।
এর আগে ৫ জুন দেশে করোনায় একজনের মৃত্যু হয়। আশঙ্কাজনক না হলেও দেশে এ রোগের প্রকোপ বাড়ছে। প্রতিবেশী ভারতেও করোনা বৃদ্ধি পাওয়ায় বেড়েছে উদ্বেগ।
এ পরিস্থিতিতে করোনার সম্ভাব্য বিস্তার রোধে পরীক্ষার সরঞ্জাম বাড়ানো এবং আবারও টিকা দেওয়া শুরুর তাগিদও দিয়েছেন জনস্বাস্থ্যবিদেরা।
আগামী ১০ দিনের মধ্যে করোনা পরীক্ষার ব্যবস্থা আবার চালু করা যাবে বলে জানান হালিমুর রশীদ।
প্রাথমিকভাবে, ঢাকা মেডিকেল কলেজ, মুগদা জেনারেল হাসপাতাল, চট্টগ্রাম মেডিকেল কলেজ, রাজশাহী, খুলনা, বরিশাল, সিলেট ও ময়মনসিংহ বিভাগীয় শহরের হাসপাতালগুলোয় পরীক্ষা চালু হবে।
আন্তর্জাতিক উদরাময় গবেষণা কেন্দ্র বাংলাদেশের (আইসিডিডিআরবি) তথ্য অনুযায়ী, গত এপ্রিল মাসের শেষ সপ্তাহে দেশে করোনায় আক্রান্ত হয়েছিলেন একজন। কিন্তু গত মে মাসের শেষ সপ্তাহে এতে আক্রান্ত রোগীর সংখ্যা দাঁড়ায় ২৫-এ। একই সঙ্গে গত ১০ দিনে করোনায় আক্রান্ত হন ৪০ জন। এ সময় নমুনা পরীক্ষা করা হয় ৩০৪টি।
আইসিডিডিআরবির গবেষকেরা করোনার নতুন একটি ধরন শনাক্তের কথা বলছেন। এর নাম এক্সএফজি। এর পাশাপাশি এক্সএফসি ধরনটিও পাওয়া গেছে। দুটিই করোনার শক্তিশালী ধরন অমিক্রনের জেএন-১ ভ্যারিয়েন্টের উপধরন।
সংক্রমণ রোধে হাসপাতাল বা স্বাস্থ্যকেন্দ্রে প্রয়োজনীয় পরীক্ষা কিটের মজুতের কথা বলছেন জনস্বাস্থ্যবিদেরা। তবে ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতাল, সলিমুল্লাহ মেডিকেল কলেজ হাসপাতাল ও শহীদ সোহরাওয়ার্দী মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে করোনা পরীক্ষার কোনো কিট নেই বলে জানা গেছে।