ভারতসহ বিশ্বের বিভিন্ন দেশে করোনাভাইরাসের সংক্রমণ বৃদ্ধির পরিপ্রেক্ষিতে চট্টগ্রামের শাহ আমানত আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরে বিভিন্ন ধরনের স্বাস্থ্যগত ব্যবস্থা নেওয়া হয়েছে।
বাংলাদেশে এই সংক্রমণ এড়াতে স্বাস্থ্য অধিদফতরের নির্দেশনা মেনে শাহ আমানত বিমানবন্দরে ইমিগ্রেশন ও স্বাস্থ্য ডেস্কে জোরদার করা হয়েছে স্বাস্থ্যগত নজরদারি।
বিমানবন্দরের জনসংযোগ কর্মকর্তা মোহাম্মদ ইব্রাহীম খলিল জানান, আন্তর্জাতিক আগমনী স্থলে ইমিগ্রেশন এ প্রবেশস্থলে হেলথ স্ক্রিনিং ইকুইপমেন্ট বসানো হয়েছে।
তিনি বলেন, ‘বিমানবন্দরের মেডিক্যাল টিম কর্তৃক থার্মাল স্ক্যানারের মাধ্যমে নন টাচ পদ্ধতিতে আগত যাত্রীদের তাপমাত্রা নির্ণয় করার ব্যবস্থা নেয়া হয়েছে।’
‘এছাড়াও বিমানবন্দরে টার্মিনালের স্পর্শকাতর পয়েন্টসমূহে সকলকে মাস্ক ব্যবহারের জন্য দেওয়া হয়েছে জরুরি নির্দেশনা। বিমানবন্দরের স্বাস্থ্যকর্মীদের জন্য জরুরি ভিত্তিতে পর্যাপ্ত মাস্ক ও গ্লোভস মজুতের ব্যবস্থা নেয়া হয়েছে’, উল্লেখ করেন তিনি।

যাত্রীদের মধ্যে ভাইরাসের সংক্রমণ প্রতিরোধে গণসচেতনতা বৃদ্ধির জন্য রোগ প্রতিরোধ নির্দেশনা প্রচারের ব্যবস্থা নেয়া হয়েছে বলে বিমানবন্দর কর্তৃপক্ষ জানিয়েছে।
স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের নির্দেশে বেনাপোল স্থল বন্দরেও স্বাস্থ্যগত নজরদারি বাড়ানো হয়েছে। সেখানে যাত্রীদের তাপমাত্রা পরীক্ষা করা হচ্ছে।
রেল কর্তৃপক্ষ এরই মধ্যে ঈদে ফিরতি ট্রেন যাত্রীদের মাস্ক পরার জন্য অনুরোধ জানিয়ে সংবাদ বিজ্ঞপ্তি দিছে।
এর আগে, চলতি মাসের ৪ জুন রোগ নিয়ন্ত্রণ স্বাস্থ্য অধিদপ্তর মহাখালীর পরিচালক অধ্যাপক ডা. মো. ফরহাদ হোসেনের সই এক আদেশ জারি করা হয়। এতে সংক্রমণ এড়াতে দেশের সকল নৌ, স্থল ও আন্তর্জাতিক বিমান বন্দর সমূহে স্ক্রিনিংসহ স্বাস্থ্য সুরক্ষা বিধি মানার প্রয়োজনীয় পদক্ষেপ গ্রহণ করতে বলা হয়েছে।
ভারতে কোভিড বৃদ্ধি
প্রতিবেশী দেশ ভারতে ক্রমেই ছড়িয়ে পড়েছে করোনার প্রকোপ। দেশটির প্রভাবশালী দৈনিক ‘হিন্দুস্থান টাইমস’-এর খবরে বলা হয়, ভারতে একদিনে ৬ হাজার ১৩৩জন করোনা রোগী সনাক্ত হয়েছে, যাদের মধ্যে ৩৭৮ জন নতুন রোগী। দেশটি কেরালা রাজ্যে সংক্রমণ সবচেয়ে বেশি। গুজরাট ও পশ্চিমবঙ্গেও সংক্রমণ বাড়ছে।