বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান, জাতীয় চার নেতাসহ শতাধিক ‘মুক্তিযোদ্ধার স্বীকৃতি বাতিলের’ যে খবর দেশের কয়েকটি শীর্ষ স্থানীয় জাতীয় দৈনিকে প্রকাশিত হয়েছে, তা ‘সম্পূর্ণ ভিত্তিহীন’ বলে জানিয়েছে প্রধান উপদেষ্টার প্রেস উইং।
বুধবার এক বিবৃতিতে প্রেস উইং জানায়, ‘মুজিবনগর সরকারের রাষ্ট্রপতি শেখ মুজিবুর রহমান, অস্থায়ী রাষ্ট্রপতি সৈয়দ নজরুল ইসলাম, প্রধানমন্ত্রী তাজউদ্দীন আহমদ এবং দুই মন্ত্রী মো. মনসুর আলী ও এ এইচ এম কামরুজ্জামানসহ শতাধিক নেতার “মুক্তিযোদ্ধা স্বীকৃতি বাতিল” বলে সমকাল, যুগান্তর, ইত্তেফাক ও কালেরকন্ঠসহ কয়েকটি সংবাদমাধ্যমে যে খবর প্রকাশিত হয়েছে তা “সম্পূর্ণ ভিত্তিহীন, মিথ্যা এবং বিভ্রান্তিকর”।’
মুক্তিযুদ্ধ বিষয়ক মন্ত্রণালয়ের উপদেষ্টা ফারুক ই আজমকে উদ্ধৃত করে প্রেস উইং বলছে, ‘তিনি জানিয়েছেন, মুজিবনগর সরকারে যারা ছিলেন, তারাও মুক্তিযোদ্ধা। যারা সশস্ত্রভাবে মুক্তিযুদ্ধ করেছে, যারা পরিচালনা করেছে, তারা মুক্তিযোদ্ধা। তবে ওই সরকারের কর্মকর্তা, কর্মচারীরা সহযোগী মুক্তিযোদ্ধা।’
‘তিনি জানান জাতীয় মুক্তিযোদ্ধা কাউন্সিল (জামুকা) অধ্যাদেশ অনুযায়ী স্বাধীন বাংলা বেতার কেন্দ্রসহ কূটনীতিকরা সহযোগী মুক্তিযোদ্ধা। সহযোগী মানে এই নয় যে তাদের সম্মান ক্ষুণ্ন করা হয়েছে,’ যোগ করা হয় বিবৃতিতে।
উপদেষ্টা ফারুক ই আজমের বরাত দিয়ে এতে আরো বলা হয়, ‘তিনি জানান, ১৯৭২ সালে মুক্তিযোদ্ধার যে সংজ্ঞা ছিল সেটাই বাস্তবায়ন করা হয়েছে। ২০১৮ ও ২০২২ সালে এটা পরিবর্তন করা হয়। মুক্তিযোদ্ধা ও মুক্তিযুদ্ধের সহযোগী দুইয়েরই সম্মান, মর্যাদা, সুযোগ-সুবিধা একই থাকবে।’