৮ বছর পর ফের একীভূত স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের দুই বিভাগ

টাইমস রিপোর্ট
3 Min Read

আট বছর পর স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের দুটি বিভাগ একীভূত করেছে অন্তর্বর্তী সরকার।

বুধবার এক প্রজ্ঞাপনের মাধ্যমে এই একীভূতকরণের কথা জানায় মন্ত্রিপরিষদ বিভাগ।

প্রজ্ঞাপন অনুযায়ী, ১৯৯৬ সালের রুলস অব বিজনেসের ক্ষমতাবলে  ‘জননিরাপত্তা বিভাগ’ এবং ‘নিরাপত্তা পরিষেবা বিভাগ’কে এক করে স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়কে একটি একক সত্তায় রূপান্তর করা হয়েছে। একীভূত এই বিভাগটির নাম হবে ‘স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়’।

প্রধান উপদেষ্টার কার্যালয়ের পরিচালক এ কে এম মনিরুজ্জামানের সই করা চিঠিতে মন্ত্রিপরিষদ বিভাগকে এ বিষয়ে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নেওয়ার নির্দেশ দেওয়া হয়েছে।

চিঠিতে বলা হয়, স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের জননিরাপত্তা ও সুরক্ষা সেবা বিভাগ দুটির কাজের ব্যাপকতা, অধিকতর সমন্বয়, গতিশীলতা আনা ও গুরুত্ব বিবেচনা করে জনস্বার্থে এ একত্রীকরণে প্রধান উপদেষ্টা অনুশাসন দিয়েছেন।

একীভূতকরণের বিষয়ে জানতে চাইলে মন্ত্রিপরিষদ সচিব শেখ আব্দুর রশিদ টাইমস অব বাংলাদেশকে বলেন, দুই বিভাগের মধ্যে সমন্বয়ের অভাবের কথা জানিয়ে স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয় থেকে একীভূত করার প্রস্তাব দেওয়া হয়।

তিনি বলেন, ‘ধরুন এমন পরিস্থিতি হলো যে, কোথাও আগুন লেগেছে। আপনি সেখানে ফায়ার সার্ভিসের সদস্যদের পাঠাবেন। কিন্তু ফায়ার সার্ভিসের যদি পুলিশের সঙ্গে সমন্বয় না থাকে তাহলে ফায়ার সার্ভিস কর্মীরা ঠিকমতো কাজ করতে পারবেন না। যখন মাদকদ্রব্য নিয়ন্ত্রণ অধিদপ্তর কোথাও অভিযান চালায় তখন পুলিশের সঙ্গে সমন্বয় না করে গেলে তারা পাল্টা আক্রমণের শিকার হতে পারে। আবার ধরুন, সীমান্ত এলাকায়ও তো বিজিবির সহায়তা ছাড়া যাওয়া বা কাজ করা সম্ভব নয়।’

‘যদি এই সংস্থাগুলো একটি বিভাগের অধীনে না থাকে তাহলে তারা কীভাবে সমন্বয় করে কাজ করবে’, প্রশ্ন রাখেন তিনি।

এর আগে ২০১৭ সালে প্রশাসনিক কাজের সুবিধার্থে স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়কে দুটি বিভাগে বিভক্ত করে তৎকালীন আওয়ামী লীগ সরকার। তখন একটি বিভাগের নামকরণ করা হয় জননিরাপত্তা বিভাগ এবং অন্যটির নামকরণ করা হয় সুরক্ষা পরিষেবা বিভাগ।

জননিরাপত্তা বিভাগের তত্ত্বাবধানে ছিল পুলিশ বিভাগ, বর্ডার গার্ড বাংলাদেশ (বিজিবি), বাংলাদেশ আনসার ও গ্রাম প্রতিরক্ষা বাহিনী, বাংলাদেশ কোস্ট গার্ড, তদন্তকারী সংস্থা, আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনাল (আইসিটি) এবং জাতীয় টেলিযোগাযোগ পর্যবেক্ষণ কেন্দ্র (এনটিএমসি)।

নিরাপত্তা পরিষেবা বিভাগের অধীনে ছিল ইমিগ্রেশন ও পাসপোর্ট বিভাগ, কারা বিভাগ, বাংলাদেশ ফায়ার সার্ভিস ও সিভিল ডিফেন্স বিভাগ এবং মাদকদ্রব্য নিয়ন্ত্রণ বিভাগ।

বর্তমানে মন্ত্রণালয়ের সিনিয়র সচিব নাসিমুল গনি জননিরাপত্তা বিভাগ এবং সুরক্ষা পরিষেবা বিভাগ উভয়ের সচিব হিসেবে দায়িত্ব পালন করছেন।

২০২৪ সালে অন্তর্বর্তী সরকার দায়িত্ব নেওয়ার পর বিভাগ দুটিকে একীভূত করার বিষয়টি আলোচনায় আসে।

Share This Article
Leave a comment

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *