জাতীয় বার্ন ইনস্টিটিউটের পরিচালক নাসির উদ্দিন বলেছেন, ৫০ ভাগের মতো রোগী প্রাইমারি ক্রিটিক্যাল কন্ডিশনে আছে। বাকি ২০-১৫ ভাগ দগ্ধের রোগীও যদি ক্রস ইনফেকশনের হয় যে কোনো সময় খারাপ হয়ে যেতে পারে। ৫ ভাগের রোগীর জীবনও অনেক সময় আশঙ্কায় থাকে।
সোমবার রাতে জাতীয় বার্ন ইনস্টিটিউটে সংবাদ সম্মেলনে এসব কথা বলেন।
নাসির উদ্দিন বলেন, ‘ভিআইপি ও রাজনীতিবিদ যারা আসছেন তারা রোগীদের কাছে যাচ্ছেন না, শুধুমাত্র হাসপাতালের সার্ভিস প্রোভাইডাররা যাচ্ছেন। লোকজন যত কম আসবেন ততই আমাদের জন্য, রোগীর জন্য ভাল হবে।’
এক প্রশ্নের জবাবে তিনি বলেন, ‘এই হাসপাতালের যে সক্ষমতা আছে। সে অনুযায়ী কোনো অভিভাবককে, কাউকেই চিকিৎসার জন্য কোনো কিছুই বাইরে থেকে এ মুহূর্তে প্রয়োজন নেই।’
‘তাদের বাইরে থেকে সাপোর্ট দরকার নাই। অযথা যেন কেউ ভিড় না করেন।’
তিনি বলেন, ‘পর্যাপ্ত আইসিইউর সিট না থাকার বিষয়টি সত্য নয়। আইসিইউতে এ মুহূর্তে যে রোগীগুলো আছে, তাদেরকে দেওয়া হয়েছে। অতিরিক্ত সিটের ব্যবস্থা রাখা হয়েছে।’
২০টি আইসিইউর বাইরে এইচডিইউ আছে, ২০টা ভেন্টিলেটর রয়েছে বলেও জানান তিনি।
এর আগে প্রধান উপদেষ্টার স্বাস্থ্য বিষয়ক বিশেষ সহকারী মো. সায়েদুর রহমান বলেন, উড়োজাহাজ বিধ্বস্তের ঘটনায় নিহতদের মধ্যে ‘পুরোপুরি ভষ্ম’ হওয়ায় সাতজনের পরিচয় শনাক্ত সম্ভব হয়নি। তাদের ডিএনএ স্যাম্পল নেওয়া হচ্ছে।
‘এর মধ্যে ৬ জন সিএমএইচে আর একজন উত্তরা আধুনিক হাসপাতালে রয়েছে। দেহাবশেষ থেকে জানা যাবে তাদের পরিচয়। ধারণা করছি তারা হয়তো সবাই শিশু,’ যোগ করেন তিনি।
তিনি বলেন, ‘আহতের যারা পুড়েছেন তাদের মধ্যে বেশিবয়সী শুধুমাত্র উদ্ধারকর্মী এবং দুইজন শিক্ষক আর একজন ওই স্কুলের স্টাফ। এ ছাড়া বাকি সবাই শিশু।’
‘আহত শিশুর সংখ্যা ১০০ এর বেশি অন্যান্যদের সংখ্যা ১৫ জনের মতো।’
১০০ জনের মধ্যে অল্পকিছু আছে যারা চিকিৎসা শেষ করে বাড়ি গেছেন, সে সংখ্যাটা খুবই কম আর অধিকাংশই হাসপাতালে আছেন বলে জানান তিনি।