‘জুলাই গণঅভ্যুত্থানের’ এক বছর পূর্তি উপলক্ষে মাসব্যাপী কর্মসূচি ঘোষণা করেছে জাতীয় নাগরিক পার্টি-এনসিপি। আগামী ৩ আগস্ট ‘জুলাই ঘোষণাপত্র ও ইশতেহার দিবস’ পালনের ঘোষণাও দিয়েছে দলটি।
রোববার বেলা ১১টায় বাংলামোটরে অস্থায়ী কার্যালয়ে এক সংবাদ সম্মেলনের মাধ্যমে এ কর্মসূচি ঘোষণা করেন দলের আহ্বায়ক নাহিদ ইসলাম।
মাসব্যাপী কর্মসূচিতে আগামী ১ জুলাই রংপুরে শহিদ আবু সাঈদের কবর জিয়ারতে যাবেন এনসিপির কেন্দ্রীয় নেতারা। এছাড়াও শহিদ পরিবার ও আহতদের সঙ্গে সাক্ষাতের কর্মসূচি রয়েছে সংগঠনের। সারা দেশে ৩০ জুলাই পদযাত্রা কর্মসূচি পালন করা হবে, তাতেও কেন্দ্রীয় নেতারা অংশ নেবেন। স্বৈরাচারের মুক্তির দিনে ৫ আগস্ট ‘ছাত্র-জনতার মুক্তি দিবস’ উদযাপন করা হবে। সেদিনও সারা দেশে বিভিন্ন কর্মসূচি রয়েছে।

মাসব্যাপী এ কর্মসূচির আহ্বায়ক করা হয়েছে এনসিপির উত্তরাঞ্চলীয় মুখ্য সংগঠক সারজিস আলমকে। এতে সদস্য সচিব হিসেবে রয়েছেন যুগ্ম আহবায়ক অনিক রাজ।
এছাড়া ১৬ জুলাইকে ‘বৈষম্যবিরোধী শহিদ দিবস’ হিসেবে পালন করবে এনসিপি। এদিন আবু সাঈদসহ অন্যান্য শহিদদের স্মরণে মিলাদ ও দোয়া মাহফিল করা হবে বলে জানিয়েছেন নাহিদ ইসলাম।
এনসিপির শীর্ষ নেতা নাহিদ ইসলাম বলেন, ‘যেহেতু সরকার প্রতিশ্রুতি পালন করতে পারেনি। নির্ধারিত সময়ের মধ্যে জুলাই ঘোষণাপত্র দিতে ব্যর্থ হয়েছে। তাই ৩ আগস্ট কেন্দ্রীয় শহীদ মিনারে জুলাই ঘোষণাপত্র ও ইশতেহার পাঠ করা হবে।’
‘আমরা নিজেদের মতো ঘোষণা করবো ও ইশতেহার পাঠ করবো। কারণ আমরা মনে করি, জুলাইয়ের ঐতিহাসিক স্বীকৃতি প্রয়োজন। এতে জুলাইয়ের অন্যান্য অংশীজনদেরও আহ্বান জানানো হবে। অন্য কেউ না চাইলেও তা হবে।’
এক প্রশ্নের জবাবে তিনি বলেন, ‘সরকার ইতিহাস সংরক্ষণে কতটুকু দায়িত্ব পালন করছে, সেটি সরকারকেই স্পষ্ট করতে হবে। আর সরকারের পক্ষ থেকে জুলাই সনদের কথা বলা হয়েছে। আশা করি, সরকার তা ৫ আগস্টের মধ্যেই দেবে।’
কর্মসূচির বিষয়ে নাহিদ ইসলাম বলেন, ‘১ জুলাইয়ের কোটা সংস্কার আন্দোলন থেকেই ফ্যাসিস্টের পতনের অধ্যায় শুরু হয়। এ এক বছরে আমাদের অনেক প্রাপ্তি ও অপ্রাপ্তি রয়েছে। জুলাই গণঅভ্যুত্থান পৃথিবীর ইতিহাসে বিরল। তাই জুলাই শহীদদের স্মরণ করা আমাদের নৈতিক দায়িত্ব। আর আহতদের প্রতিও আমাদের দায়বদ্ধতা রয়েছে।’