বেশ কিছুদিন স্থিতিশীল থাকার পর বাজারে দাম বাড়ছে পেঁয়াজ, আদা, মুরগি এবং ডিমের মতো পণ্যের। বিশেষ করে পেঁয়াজের দাম এক সপ্তাহের ব্যবধানে ৫০ থেকে ৬০ টাকা কেজি থেকে বেড়ে ৭০ থেকে ৮০ টাকায় পৌঁছেছে। গত শুক্রবার পর্যন্ত পেঁয়াজের কেজি ছিল ৬০ থেকে ৬৫ টাকা, যা এক সপ্তাহ আগে ছিল ৫০ থেকে ৬০ টাকা।
ট্রেডিং করপোরেশন অব বাংলাদেশ (টিসিবি) জানিয়েছে, এক মাসে পেঁয়াজের দাম বেড়েছে প্রায় ৩০ শতাংশ। বাজার সংশ্লিষ্টরা জানান, সরবরাহে ঘাটতির কারণে এই মূল্যবৃদ্ধি হয়েছে। পেঁয়াজের মৌসুম শেষের দিকে এবং সাম্প্রতিক বৃষ্টিপাতের কারণে সরবরাহে ব্যাঘাত ঘটেছে। তবে নতুন পেঁয়াজ আসার পর দাম কমে যাওয়ার আশা করছেন ব্যবসায়ীরা।
কারওয়ান বাজারের পাইকারি ব্যবসায়ী রজত আলী বলেন, ‘এক সপ্তাহ ধরে পেঁয়াজের দাম বাড়তি। আগে এক পাল্লা (৫ কেজি) পেঁয়াজ বিক্রি করতাম ২৫০ থেকে ২৬০ টাকায়, এখন বিক্রি করছি ৩৫০ থেকে ৩৬০ টাকায়। তবে, বাজারে এখনো কৃষকের সংরক্ষিত পুরোনো পেঁয়াজ আসছে, তাই দাম কিছুটা বাড়তির দিকে।’
পেঁয়াজ ছাড়াও আদার দামও বেড়েছে। গত দুই থেকে তিন সপ্তাহের মৌসুমি বৃষ্টিপাতের কারণে বাজারে সবজি এবং কাঁচা মরিচের দামও চড়া।
এ সপ্তাহে ডিমের দামও কিছুটা বেড়েছে। লাল ডিমের ডজন প্রতি দাম ১২০ টাকা থেকে বেড়ে এখন ১৩৫-১৪০ টাকায় বিক্রি হচ্ছে। পাইকারি বাজারে ১০০ লাল ডিমের ৮৫০-৯১০ টাকার ক্যারেট এখন ১০৪০ টাকায় বিক্রি হচ্ছে। সাদা ডিমের দাম তুলনামূলকভাবে কিছুটা সস্তা, কারওয়ান বাজারে সাদা ডিম ১২০ টাকা ডজন দরে বিক্রি হচ্ছে।
গত কয়েক সপ্তাহের ব্যবধানে ব্রয়লার ও সোনালি মুরগির দাম কেজিতে ২০ থেকে ৩০ টাকা বেড়েছে। ঢাকায় বর্তমানে ব্রয়লার মুরগি ১৭০ থেকে ১৮০ টাকা কেজি দরে বিক্রি হচ্ছে, যা আগে ছিল ১৫০ থেকে ১৬০ টাকা। সোনালি মুরগি ৩১০ থেকে ৩২০ টাকা কেজি দামে বিক্রি হচ্ছে, যা আগে ছিল ২৮০ থেকে ৩০০ টাকা।
ভোক্তারা মনে করছেন, বাজারে নিয়মিত নজরদারি না থাকায় অসাধু ব্যবসায়ীরা পণ্যের দাম বাড়ানোর সুযোগ নিচ্ছেন। বাজারে পর্যাপ্ত মজুত থাকা সত্ত্বেও কৃত্রিম সংকট সৃষ্টি করে হঠাৎ দাম বাড়ানো হচ্ছে।