স্বাধীনতার বিষয়ে যাদের ভিন্নমত ছিল তারাও বিএনপির সমালোচনা করে: ফখরুল

টাইমস রিপোর্ট
3 Min Read
কিশোরগঞ্জে বিএনপির ত্রি-বার্ষিকী সমাবেশে মির্জা ফখরুল। ছবি: ‍সংগৃহীত
Highlights
  • ‘আজকে অনেক ষড়যন্ত্র চলছে, মিথ্যা অপবাদ ও অপপ্রচার করা হচ্ছে বিএনপির বিরুদ্ধে। বিএনপি ৪৭ বছর যা কিছু ভালো সবকিছু দিয়েছে এই বাংলাদেশে।’

যাদের সদ্য জন্ম কিংবা দেশের স্বাধীনতার বিষয়ে যাদের ভিন্নমত ছিল, তারাও এখন বিএনপির সমালোচনা করে– এমন মন্তব্য করেছেন বিএনপি মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর। তিনি বলেন, ‘‘বিএনপি উড়ে এসে জুড়ে বসেনি, বরং লড়াই করে এতদূর এসেছে।’

শনিবার দুপুরে কিশোরগঞ্জ জেলা বিএনপির ত্রি-বার্ষিকী উপলক্ষে উদ্বোধনী ভাষণে এমন মন্তব্য করেন তিনি।

মির্জা ফখরুল বলেন, ‘বিএনপি কোনোদিন মাথা নত করেনি। তাই দল ও তাদের নেতাকর্মীদের ভয় পাওয়ার কিছু নেই। জিয়াউর রহমান ও খালেদা জিয়ার ধারাবাহিকতায় বাংলাদেশ বিনির্মাণ করবেন তারেক রহমান।’

তিনি বলেন, ‘আজকে অনেক ষড়যন্ত্র চলছে, মিথ্যা অপবাদ ও অপপ্রচার করা হচ্ছে বিএনপির বিরুদ্ধে। বিএনপি ৪৭ বছর যা কিছু ভালো সবকিছু দিয়েছে এই বাংলাদেশে। শহীদ জিয়াকে যখন এ দেশের শত্রুরা হত্যা করল, তারা ভেবেছিল বাংলাদেশ গেল, বিএনপি গেল। কিন্তু সেই গণতন্ত্রের পতাকা হাতে তুললেন তার সহধর্মিণী বেগম খালেদা জিয়া। তিনি লড়াই করেছেন, রাজপথে সংগ্রাম করেছেন। অনেক নেতারা তার সঙ্গে নেতৃত্ব দিয়ে বাংলাদেশকে বদলে দিতে শুরু করলেন।’

তিনি বলেন, ‘বেগম খালেদা জিয়া বিনা বেতনে মেয়েদের পড়াশোনার করার ব্যবস্থা করেছিলেন। তিনি কোটা ব্যবস্থার মাধ্যমে মেয়েদের চাকরির ব্যবস্থা করেছিলেন। এই দল উড়ে এসে জুড়ে বসেনি। লড়াই করে সংগ্রাম করে এই বাংলাদেশে এসেছে। আমাদের নেতা জিয়াউর রহমান এই দেশে স্বাধীন করেছে। আমাদের গর্ব ১৯৭১ সাল। আমাদের নেতা (জিয়াউর রহমান) গণতন্ত্র দিয়েছেন। আপনারা সেই দলের গর্বিত সদস্য।’

ফখরুল আরও বলেন, ‘ফিনিক্স পাখির মতো অনেকেই বারবার বিএনপিকে ধ্বংস করতে চেয়েছিল। কিন্তু কেউ ভাঙতেও পারেনি। গুম-খুন করে যারা ভাঙতে চেয়েছিল, তারা দেশ ছেড়ে পালিয়ে গেছে।’

সম্মেলনে জেলা বিএনপির সভাপতি শরীফুল আলমের সভাপতিত্বে ও সাধারণ সম্পাদক মাজহারুল ইসলামের সঞ্চালনায় বিশেষ অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন বিএনপি চেয়ারপারসনের উপদেষ্টা আব্দুস সালাম। প্রধান বক্তা বিএনপির জাতীয় নির্বাহী কমিটির যুগ্ম মহাসচিব হাবিব উন নবী খান সোহেল।

এর আগে এদিন সকাল থেকেই জেলার বিভিন্ন উপজেলা থেকে মিছিল নিয়ে নেতাকর্মীরা সম্মেলনস্থলে সমবেত হন। কয়েক হাজার কর্মীর উপস্থিতিতে উৎসবমুখর পরিবেশে শুরু হয় সম্মেলন। সম্মেলনের দ্বিতীয় অধিবেশনে বিকালে দুই হাজার ৯০ জন কাউন্সিলর ভোট দিয়ে জেলা বিএনপির নতুন সভাপতি ও সাধারণ সম্পাদক নির্বাচন করবেন। এই ভোটের মধ্য দিয়েই গঠিত হবে কিশোরগঞ্জ জেলা বিএনপির নতুন নেতৃত্ব। সভাপতি পদে দুজন ও সাধারণ সম্পাদক পদে চারজন প্রতিদ্বন্দ্বিতা করছেন।

বিকালে এই সম্মেলনে ভার্চ্যুয়ালি যুক্ত হয়ে বক্তব্য রাখবেন দলের ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমান।

 

Share This Article
Leave a comment

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *