সেনা অভিযানে সুব্রত বাইন-মোল্লা মাসুদসহ গ্রেপ্তার ৪

টাইমস রিপোর্ট
2 Min Read
ছবিতে বাম থেকে গ্রেপ্তারকৃত শুটার আরাফাত, সুব্রত বাইন, মোল্লা মাসুদ ও শরীফ। ছবি: বাংলাদেশ সেনাবাহিনী

বাংলাদেশ সেনাবাহিনী কুষ্টিয়া শহরে এক বিশেষ অভিযান চালিয়ে গ্রেপ্তার করেছে শীর্ষ সন্ত্রাসী সুব্রত বাইন ওরফে ফতেহ আলী ও তার ঘনিষ্ঠ সহযোগী মোল্লা মাসুদ ওরফে আবু রাসেল মাসুদকে। পৃথক অভিযানে ঢাকা থেকে অস্ত্রসহ গ্রেপ্তার করা হয়েছে তাদের দুই সহযোগী শুটার আরাফাত ও শরীফকে।

মঙ্গলবার ভোর থেকে এ বিশেষ অভিযান চলে।

বাংলাদেশ সেনাবাহিনী এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে শীর্ষ সন্ত্রাসী সুব্রত বাইন ও মোল্লা মাসুদসহ ৪ জনকে গ্রেপ্তারের তথ্য নিশ্চিত করেছে।

কুষ্টিয়া শহরের কালীশংকরপুর এলাকায় ভোর পাঁচটা থেকে সকাল আটটা পর্যন্ত এক বিশেষ অভিযান চলে। সেখানে সোনার বাংলা মসজিদের পাশে একটি বাড়ি থেকে সুব্রত বাইনকে আটক করা হয়।

বিশেষ অভিযানে উদ্ধার করা অস্ত্র। ছবি: বাংলাদেশ সেনাবাহিনী

সেনাবাহিনীর সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়েছে, ‘মঙ্গলবার আনুমানিক ভোর ৫ টায় বাংলাদেশ সেনাবাহিনী কর্তৃক পরিচালিত একটি বিশেষ অভিযানে কুষ্টিয়া জেলা থেকে শীর্ষ তালিকাভূক্ত সন্ত্রাসী সুব্রত বাইন ওরফে ফতেহ আলী ও তার ঘনিষ্ঠ সহযোগী মোল্লা মাসুদ ওরফে আবু রাসেল মাসুদকে গ্রেপ্তার করা হয়।’

‘পরবর্তীতে তাদের নিকট হতে প্রাপ্ত তথ্যের ভিত্তিতে রাজধানীর হাতিরঝিল এলাকা হতে সুব্রত বাইনের অপর দুই সহযোগী শুটার আরাফাত এবং শরীফকে গ্রেপ্তার করা হয়। অভিযানকালে ৫ টি বিদেশী পিস্তল, ১০ টি ম্যাগাজিন, ৫৩ রাউন্ড এ্যামোনিশন এবং ১ টি স্যাটেলাইট ফোন উদ্ধার করা হয়।’

বিশেষ অভিযানে উদ্ধার করা অস্ত্র। ছবি: বাংলাদেশ সেনাবাহিনী

 

বিজ্ঞপ্তিতে আরো বলা হয়, ‘গ্রেপ্তারকৃতদের নামে বিভিন্ন থানায় হত্যা ও চাঁদাবাজিসহ বিভিন্ন নাশকতামূলক কার্যক্রম সংক্রান্ত মামলা রয়েছে। সুব্রত বাইন এবং মোল্লা মাসুদ সেভেন স্টার সন্ত্রাসী দলের নেতা এবং তালিকাভূক্ত ২৩ শীর্ষ সন্ত্রাসীদের অন্যতম।’

‘সুনির্দিষ্ট গোয়েন্দা তথ্যের ভিত্তিতে মঙ্গলবার সকালে অভিযানটি পরিচালনা করা হয়। অভিযান দলের দক্ষতায় কোনরূপ ক্ষয়ক্ষতি এবং নাশকতা ছাড়াই অভিযানটি সম্পন্ন হয় এবং অপরাধীদের গ্রেপ্তার করা সম্ভব হয়। উক্ত সফল অভিযান বাস্তবায়নে বাংলাদেশ সেনাবাহিনীর বিভিন্ন ফরমেশন, দেশের বিভিন্ন গোয়েন্দা সংস্থা এবং বাংলাদেশ পুলিশ অগ্রণী ভূমিকা পালন করে।’

সেনাবাহিনীর পক্ষ থেকে বলা হয়েছে, ‘বাংলাদেশ সেনাবাহিনী জননিরাপত্তা নিশ্চিত করণ ও আইনশৃংখলা রক্ষায় অঙ্গীকারবদ্ধ। যেকোন ধরণের অপরাধমূলক কার্যক্রমের তথ্য নিকটস্থ সেনা ক্যাম্প অথবা আইনশৃংখলা বাহিনীকে অবহিত করার জন্য সর্বসাধারণকে অনুরোধ জানানো যাচ্ছে।’

Share This Article
Leave a comment

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *