আগামী নির্বাচন অবাধ, সুষ্ঠু, নিরপেক্ষ ও নিরাপদ করতে আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীতে উল্লেখযোগ্য সংখ্যক জনবল নিয়োগ দেওয়া হয়েছে বলে জানিয়েছেন স্বরাষ্ট্র উপদেষ্টা মো. জাহাঙ্গীর আলম চৌধুরী।
সোমবার সচিবালয়ে আইনশৃঙ্খলা সংক্রান্ত উপদেষ্টা পরিষদ কমিটির ১২তম সভা শেষে তিনি কোন বাহিনীতে কত সংখ্যক জনবল নিয়োগ হয়েছে তাও তুলে ধরেন।
উপদেষ্টা বলেন, ‘নির্বাচনের আগে পুলিশে ১৫ হাজার ৮৫১ জন সদস্য নিয়োগ দেওয়া হয়েছে৷ তাছাড়া বিজিবিতে ৪ হাজার ৪৬৯ জন, আনসারে ৫ হাজার ৫৫১ জন, কারা অধিদপ্তরে এক হাজার ৫৫৮ জন এবং ফায়ার সার্ভিস ও সিভিল ডিফেন্স অধিদপ্তরে ২০৮ জন নতুন জনবল নিয়োগ দেওয়া হয়েছে।’
এসব নিয়োগের জন্য কিছু নতুন পদ সৃষ্টি করা হয়েছে, আবার শূন্যপদের বিপরীতেও কিছু নিয়োগ হয়েছে বলে জানান তিনি।’
স্বরাষ্ট্র উপদেষ্টা বলেন, ‘পুলিশের ক্ষেত্রে কনস্টেবল ও উপপরিদর্শক (এসআই) পদে নিয়োগ দেওয়া হয়েছে। এছাড়া আনসার ও বিজিবির ক্ষেত্রে সমমানের পদে নিয়োগ হয়েছে।’
১৫ আগস্ট ঘিরে আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর প্রতি স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের নির্দেশনা সম্পর্কে সাংবাদিকদের এক প্রশ্নের জবাবে জাহাঙ্গীর আলম চৌধুরী বলেন, ‘আমাদের নির্দেশনা ছিল যাতে কোনো অপ্রীতিকর ঘটনা না ঘটে সেদিকে খেয়াল রাখা।’
বিসিএস পুলিশ ক্যাডারের ১৮ কর্মকর্তার সাময়িক বরখাস্ত সম্পর্কে তিনি বলেন, ‘বিনা অনুমতিতে কর্মস্থল থেকে ৬০ দিন বা তার বেশি সময় অনুপস্থিত থাকা অপরাধ। সে অনুযায়ী এসব কর্মকর্তাকে সাময়িক বরখাস্ত করা হয়েছে। এটা একটা চলমান প্রক্রিয়া যা অব্যাহত থাকবে।’
এসময় বিভিন্ন স্থানে হওয়া হয়রানিমূলক মামলা প্রসঙ্গে প্রশ্ন করেন সাংবাদিকরা।
জবাবে অবসরপ্রাপ্ত এই লেফটেন্যান্ট জেনারেল বলেন, ‘আমরা চাই সাধারণ জনগণ বা নির্দোষ জনগণ যেন কোনভাবেই হয়রানির শিকার না হয়। তবে যে দোষী সে কোনো অবস্থাতেই ছাড়া পাবে না।’
নির্দোষ কাউকে আটক বা গ্রেপ্তার করা হলে সেই তথ্য তুলে ধরতে এবং সরকারকে জানাতে অনুরোধ করেন স্বরাষ্ট্র উপদেষ্টা।
ব্রিফিংয়ে স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের সিনিয়র সচিব নাসিমুল গনি, বাংলাদেশ আনসার ও গ্রাম প্রতিরক্ষা বাহিনীর মহাপরিচালক মেজর জেনারেল আবদুল মোতালেব সাজ্জাদ মাহমুদসহ অন্যরা উপস্থিত ছিলেন।