রাজধানীর উত্তরায় মাইলস্টোন স্কুল অ্যান্ড কলেজ ক্যাম্পাসে বাংলাদেশ বিমানবাহিনীর যুদ্ধবিমান বিধ্বস্ত হওয়ার ঘটনায় ক্ষতিগ্রস্ত ব্যক্তিদের জন্য অর্থসহায়তা চেয়ে প্রধান উপদেষ্টার ভেরিফায়েড ফেসবুক পেজ থেকে একটি পোস্ট দেওয়া হয়।
এ নিয়ে সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে সমালোচনা শুরু হয়। পরে পেজ থেকে পোস্টটি সরিয়ে ফেলা হয়।
মঙ্গলবার দুপুরে প্রধান উপদেষ্টার ভেরিফায়েড ফেসবুক পেজ থেকে পোস্টটি সরিয়ে নেওয়া হয়। তবে কী কারণে পোস্টটি সরিয়ে নেওয়া হয়েছে, তা জানানো হয়নি।
জানা গেছে, এদিন দুপুর দুইটার কিছু পর প্রধান উপদেষ্টার ভেরিফায়েড ফেসবুক পেজ থেকে পোস্টটি করা হয়।
পোস্টে লেখা ছিল: ‘মাইলস্টোন স্কুল অ্যান্ড কলেজে প্রশিক্ষণ বিমান বিধ্বস্ত হয়ে ক্ষতিগ্রস্তদের জন্য যারা অর্থ সাহায্য করতে চান, তারা উপরোক্ত ত্রাণ ও কল্যাণ তহবিলের উল্লেখিত নম্বরে তা জমা দিতে পারেন। হিসাবের নাম: প্রধান উপদেষ্টার ত্রাণ ও কল্যাণ তহবিল, চলতি হিসাব নম্বর-০১০৭৩৩০০৪০৯৩, সোনালী ব্যাংক লি., প্রধান উপদেষ্টার কার্যালয় করপোরেট শাখা।’
প্রধান উপদেষ্টার প্রেস উইংয়ের হোয়াটসঅ্যাপ গ্রুপেও পোস্টটি শেয়ারও করেন প্রধান উপদেষ্টার সিনিয়র সহকারী প্রেস সচিব ফয়েজ আহম্মদ। ঘটনার পরই ফেসবুকে সমালোচনার ঝড় বয়ে যায়।
খাদিজাতুল কোবরা নামের একজন ফেসবুক ব্যবহারকারী লিখেছেন, ‘আমি এতদিনে বুঝতে পেরেছি, বন্যার সময় টাকা তুলব না বলাতে মানুষ কেন জিনিসটা মানতে পারেনি। আমাদের প্রধান উপদেষ্টা টাকা চাচ্ছে বাচ্চাদের চিকিৎসার জন্য! মাশা আল্লাহ! আলহামদুলিল্লাহ! আমার আসলেই আর কিছু বলার নেই।’
আরও একজন লিখেছেন, ‘মানে একদিন না যেতেই সরকারের ক্রাউড ফান্ডিংয়ে যাওয়া উচিত—এই বুদ্ধিটা কোন উজবুক সরকারকে দিল?’
এসব সমালোচনার পর প্রধান উপদেষ্টার ফেসবুক পেজ থেকে পোস্টটি সরিয়ে নেওয়া হলেও হোয়াটসঅ্যাপ গ্রুপে পোস্টটি এখনো আছে বলে জানা গেছে।