ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের ছাত্রদল নেতা শাহরিয়ার আলম সাম্য হত্যার বিচার দাবিতে ফের শাহবাগ মোড়ে অবরোধ করেছে জাতীয়তাবাদী ছাত্রদল।
মঙ্গলবার বিকেল সাড়ে তিনটার দিকে ছাত্রদলের শতাধিক নেতা-কর্মীরা সড়কে অবস্থান নিয়ে অবরোধ শুরু করেন। এতে শাহবাগ মোড় দিয়ে যান চলাচল বন্ধ হয়ে যায়।
শাহবাগের অবস্থান থেকে বিক্ষুদ্ধ নেতাকর্মীরা ‘সাম্য হত্যার বিচার চাই’, ‘আমার ভাই কবরে, খুনি কেন বাইরে’ ইত্যাদি স্লোগানে বিচারহীনতার প্রতিবাদ জানান।
গত রোববারও ছাত্রদল একই দাবিতে প্রায় দুই ঘণ্টা শাহবাগ মোড় অবরোধ করেছিল। তাদের অভিযোগ, পুলিশ মামলার তদন্তে গাফিলতির পাশাপাশি ‘প্রকৃত হত্যাকারী’ গ্রেপ্তার না করে সময়ক্ষেপণ করছে।
ছাত্রদল জানিয়েছে, দ্রুত পদক্ষেপ না নিলে আন্দোলন আরও তীব্র করা হবে। সাম্য হত্যার বিচার নিশ্চিত না হওয়া পর্যন্ত আন্দোলন চলবে।
এছাড়া সাম্য হত্যাকাণ্ডের ‘তদন্তে অগ্রগতি’ না হলে বৃহস্পতিবার স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয় অভিমুখে ‘লং মার্চের’ হুঁশিয়ারি দিয়েছেন শিক্ষা ও গবেষণা ইনস্টিটিউটের শিক্ষার্থীরা। মঙ্গলবার দুপুরে ইনস্টিটিউট চত্বরে আয়োজিত এক সংবাদ সম্মেলনে শিক্ষার্থীরা এ ঘোষণা দেন। সাম্য হত্যার বিচার দাবিতে ৯ দফা দাবি তুলে ধরেন তারা।
এর আগে, একই দাবিতে শনি ও রোববার শাহবাগ থানা ঘেরাও করে সাম্যর সহপাঠী ও ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের সাধারণ শিক্ষার্থীরা।
সাম্য হত্যা মামলায় ১৪ মে তিন আসামিকে গ্রেপ্তার করে পুলিশ। ওইদিনই তাদের আদালতের নির্দেশে কারাগারে। পরে তাদের রিমান্ডে আনা হয়। পুলিশের দাবি, গ্রেপ্তারকৃতরাই সাম্যর ‘প্রকৃত হত্যাকারী’।
১৩ মে রাত ১১টার দিকে সোহরাওয়ার্দী উদ্যানের ভেতর দিয়ে মোটরসাইকেল চালিয়ে আসার সময় আরেকটি মোটরসাইকেলের সঙ্গে ধাক্কা লাগায় কথা কাটাকাটির জেরে দুর্বৃত্তরা সাম্যকে ছুরিকাঘাত করে। রাত ১২টার দিকে রক্তাক্ত অবস্থায় উদ্ধার করে ঢাকা মেডিক্যাল কলেজ (ঢামেক) হাসপাতালে নেওয়া হলে চিকিৎসক তাকে মৃত ঘোষণা করেন।
নিহত সাম্য ছিলেন ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের স্যার এএফ রহমান হল শাখা ছাত্রদলের সাহিত্য ও প্রকাশনা সম্পাদক। বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষা ও গবেষণা বিভাগের মাস্টার্সের শিক্ষার্থী ছিলেন তিনি। তার বাড়ি সিরাজগঞ্জের উল্লাপাড়া থানা এলাকায়।