ছুরিকাঘাতে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় ছাত্র শাহরিয়ার আলম সাম্য (২৫) হত্যার ঘটনায় তিনজনকে গ্রেপ্তার করেছে শাহবাগ থানা পুলিশ।
পুলিশ জানিয়েছে, গ্রেপ্তার ব্যক্তিরা হলেন— মো. তামিম হাওলাদার (৩০), সম্রাট মল্লিক (২৮), মো.পলাশ সরদার (৩০)। মধ্যরাতে সোহারাওয়ার্দী উদ্যোনের ওই হত্যাকাণ্ডের পর আশেপাশের এলাকার সিসিটিভি ফুটেজ দেখে বুধবার রাতেই অভিযুক্তদের গ্রেপ্তারে অভিযানে নামে পুলিশ। পরে রাজাবাজার ও গ্রীনরোড এলাকা থেকে সন্দেহভাজন এই তিনকে গ্রেপ্তার করা হয়। তারা সকলেই হত্যাকাণ্ডের সঙ্গে সরাসরি জড়িত বলে পুলিশ দাবি করছে।

রমনা বিভাগের উপ-পুলিশ কমিশনার (ডিসি) মাসুদ আলম জানান, সোহরাওয়ার্দী উদ্যানের কালীমন্দিরের পাশে বিশ্ববিদ্যালয় শিক্ষার্থী সাম্যর ওপর তিন যুবক হামলা করেন। এতে হামলাকারীরাও আহত হন। তারা একটি ক্লিনিকে চিকিৎসা নিচ্ছিলেন।

খবর পেয়ে পুলিশ সেখান থেকে দুইজনকে আটক করে। এ সময় পালিয়ে যান আরেক যুবক। তাকেও পরে আটক করা হয়েছে।
শাহবাগ থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মোহাম্মদ খালিদ মুনসুর বলেন, ‘ছাত্র খুনের ঘটনায় ওই তিনজনকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে। আরো কেউ জড়িত আছে কিনা তা খতিয়ে দেখা হচ্ছে।’
মঙ্গলবার রাত ১২টার দিকে সোহরাওয়ার্দী উদ্যান এলাকায় মোটরসাইকেলের সঙ্গে অন্য একটি মোটরসাইকেলের ধাক্কা লাগায় কথা কাটাকাটির জেরে দুর্বৃত্তদের ছুরিকাঘাতে নিহত হন শাহরিয়ার আলম সাম্য। তিনি ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের স্যার এ এফ রহমান হল শাখা ছাত্রদলের সাহিত্য ও প্রকাশনা সম্পাদক ছিলেন। তিনি ছিলেন বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষা ও গবেষণা বিভাগের মাস্টার্সের শিক্ষার্থী। তার বাড়ি সিরাজগঞ্জের উল্লাপাড়া থানা এলাকায়।
এদিকে, সাম্য হত্যার প্রতিবাদ ও নিরাপদ ক্যাম্পাসের দাবিতে বুধবার সকালে ছাত্রদলের নেতাকর্মীরা ক্যাম্পাসে বিক্ষোভ মিছিল করেছে। এ সময় তারা নিরাপদ ক্যাম্পাস নিশ্চিতে ‘প্রশাসনিক ব্যর্থতার’ অভিযোগ তুলে ঢাবি ভিসি ও হল প্রক্টোরের পদত্যাগ দাবি করেন। রাতেও বিভিন্ন হলের ছাত্রছাত্রীরা ভিসির বাসভাবনের সামনে বিক্ষোভ করেন।
‘জুলাই যোদ্ধা সাম্য হত্যার দ্রুত বিচার, সোহরাওয়ার্দী উদ্যানকে মাদক মুক্ত এবং ঢাবি ক্যাম্পাসের নিরাপত্তার স্বার্থে উদ্যানের ঢাবি-গেট স্থায়ীভাবে বন্ধ’ করার দাবিতে শাহবাগ থানা ঘেরাও কর্মসূচি ঘোষণা করেছে ‘জুলাই ঐক্য’ । এ দিন দুপুর আড়াইটায় এই কর্মসূচি পালিত হবে।
সবশেষ, বিশ্ববিদ্যালয়ের কেন্দ্রীয় মসজিদে বাদ জোহর সাম্যর নামাজে জানাজার প্রস্তুতি নেওয়া হয়েছে।