সাংবাদিক দম্পতি সাগর সরওয়ার ও মেহেরুন রুনির হত্যা মামলার তদন্ত শেষ করতে আরও ছয় মাস সময় পেয়েছে উচ্চ ক্ষমতাসম্পন্ন টাস্কফোর্স। মঙ্গলবার (২২ এপ্রিল) হাইকোর্টের বিচারপতি ফাতেমা নজীব ও বিচারপতি শিকদার মাহমুদুর রাজীর সমন্বয়ে গঠিত বেঞ্চ এই আদেশ দেন।
রাষ্ট্রপক্ষের আবেদনের শুনানি নিয়ে আদালত এ সময় বৃদ্ধি মঞ্জুর করে এবং আগামী ২২ অক্টোবর আদেশের জন্য পরবর্তী দিন ধার্য করে।
এর আগে, গত বছরের ৩০ সেপ্টেম্বর হাইকোর্ট সাগর-রুনি হত্যা মামলায় তদন্তে অগ্রগতি না থাকায় বিভিন্ন সংস্থার অভিজ্ঞদের নিয়ে একটি টাস্কফোর্স গঠনের নির্দেশ দেয়। একই সঙ্গে ছয় মাসের মধ্যে তদন্ত প্রতিবেদন জমা দেওয়ার নির্দেশও দেওয়া হয়।
এ দিন নির্ধারিত সময় পার হলেও প্রতিবেদন জমা না দেওয়ায় রাষ্ট্রপক্ষ আরও নয় মাস সময় চাইলে আদালত ছয় মাস সময় দেয়।
মামলার শুরু থেকে একাধিক দফায় তদন্তকারী সংস্থা পরিবর্তন হয়েছে। প্রথমে শেরেবাংলা নগর থানা পুলিশ, পরে ডিএমপির গোয়েন্দা শাখা এবং শেষ পর্যন্ত র্যাবের হাতে তদন্তভার দেওয়া হয়। তদন্তে অগ্রগতি না থাকায় এক পর্যায়ে হাইকোর্ট ২০১২ সালের ১৮ এপ্রিল মামলাটির দায়িত্ব র্যাবকে দেয়।
রাষ্ট্রপক্ষে শুনানি করেন অতিরিক্ত অ্যাটর্নি জেনারেল মোহাম্মদ আরশাদুর রউফ ও ডেপুটি অ্যাটর্নি জেনারেল আখতার হোসেন মো. আবদুল ওয়াহাব। বাদীপক্ষে শুনানি করেন আইনজীবী মোহাম্মদ শিশির মনির।
২০১২ সালের ১১ ফেব্রুয়ারি রাজধানীর পশ্চিম রাজাবাজারে নিজেদের ভাড়া বাসায় নির্মমভাবে খুন হন ‘মাছরাঙা টিভি’র বার্তা সম্পাদক সাগর সরওয়ার ও ‘এটিএন বাংলা’র সিনিয়র রিপোর্টার মেহেরুন রুনি। এ ঘটনায় রুনির ভাই নওশের আলম বাদী হয়ে শেরেবাংলা নগর থানায় হত্যা মামলা দায়ের করেন।
দীর্ঘ ১৩ বছরেও আলোচিত এই হত্যাকাণ্ডের রহস্য উদঘাটিত না হওয়ায় শুরু থেকেই সমালোচনার মুখে রয়েছে তদন্ত সংস্থাগুলো। এখন অপেক্ষা—টাস্কফোর্সের এই বাড়তি সময় আদৌ কোনো দৃশ্যমান অগ্রগতি এনে দিতে পারে কিনা।