বলিউড অভিনেতা সাইফ আলি খানকে ছুরিকাঘাত করার মামলায় একমাত্র আসামি ‘বাংলাদেশি’ নাগরিক শরিফুল ইসলাম শেহজাদের বিরুদ্ধে একাধিক তথ্য-প্রমাণসহ হাজার পৃষ্ঠার চার্জশিট জমা দিয়েছে মুম্বাই পুলিশ।
ভারতের প্রভাবশালী সংবাদমাধ্যম হিন্দুস্তান টাইমস জানিয়েছে, বলি তারকাকে ছুরিকাঘাতের ঘটনায় ওই অভিযুক্তের বিরুদ্ধে সংগৃহীত সমস্ত প্রমাণ বুধবার (৯ এপ্রিল) মেট্রোপলিটন ম্যাজিস্ট্রেট আদালতে দাখিল করা হয়েছে।
চার্জশিটে পুলিশের অভিযোগ, সমস্ত সাক্ষ্য ও তথ্যপ্রমাণ নাকি বলছে, সাইফের ওপর ওই হামলায় শরিফুল প্রত্যক্ষভাবে জড়িত। হামলায় ব্যবহৃত ছুরিতে তার বাম হাতের আঙুলের ছাপ তো আছেই, সিসিটিভি ফুটেজে ধারণকৃত মুখাবয়ব বিশ্লেষণেও শরিফুলকে শনাক্ত করা গেছে।
এছাড়া অভিযুক্তের কাছ থেকে উদ্ধার হওয়া ছুরির বাকি অংশ, প্রত্যক্ষদর্শীর সাক্ষ্য, ফরেনসিক ল্যাব রিপোর্ট—এসব তো আছেই।
বলা বাহুল্য, এসবই অভিযুক্তের বিরুদ্ধে বিচারিক প্রক্রিয়াকে ত্বরান্বিত করবে।
এ বছরের ১৬ জানুয়ারি স্থানীয় সময় রাত ২টার দিকে মুম্বাইয়ের বান্দ্রায় সাইফ আলি খানের অ্যাপার্টমেন্টে অনুপ্রবেশ করেন অজ্ঞাতনামা এক ব্যক্তি। আততায়ী ওই ভবনের ১১ তলার টয়লেট দিয়ে ঢুকে পড়েন সাইফের বছর চারেকের ছেলে জাহাঙ্গীরের ঘরে।
হঠাৎ করেই এক গৃহকর্মীর মুখোমুখি হওয়ায় প্রথমে দুর্বৃত্ত তাকে আক্রমণ করেন। তার আর্ত চিৎকারে ছুটে আসেন সাইফ। বাধা দিলে তার পিঠ, কব্জি ও শরীরের বিভিন্ন অংশে ছুরিকাঘাত করেন আততায়ী।
খ্যাতনামা মুম্বাই তারকার নিজ বাসভবনের এহেন নাজুক নিরাপত্তা হতভম্ব করে দেয় তার লাখো-কোটি ভক্তকে।
দুর্বৃত্ত চম্পট দিলে হাসপাতালে চিকিৎসা নিয়ে দ্রুত সেরে ওঠেন সাইফ। গত ফেব্রুয়ারিতে মুম্বাইয়ে নিজের অভিনীত নেটফ্লিক্সের নতুন চলচ্চিত্র ‘জুয়েল থিফ’-এর প্রচারণামূলক অনুষ্ঠানে অংশ নেন ৫৪ বছর বয়সী এই তারকা।
এদিকে ঘটনার তদন্তে নেমে সিসিটিভি দেখে পুলিশ দাবি করে, ওই হামলার জন্য দায়ী দেশটির অবৈধ অভিবাসী শরিফুল ইসলাম শেহজাদ। গ্রেপ্তারের পর তার কাছে জাতীয় পরিচয়পত্র না পেয়ে মুম্বাই পুলিশ আরো দাবি করে, অভিযুক্ত নাকি বাংলাদেশের নাগরিক।