সাংবাদিক মুন্নি সাহার ৩৫ ব্যাংক হিসাব অবরুদ্ধ

টাইমস রিপোর্ট
2 Min Read
সিনিয়র সাংবাদিক মুন্নি সাহা। ছবি: ফেসবুক

সাংবাদিক মুন্নি সাহা ও তার স্বার্থ সংশ্লিষ্ট ব্যক্তি ও প্রতিষ্ঠানের ৩৫টি ব্যাংক হিসাব অবরুদ্ধ (ফ্রিজ) করেছে সিআইডির ফাইন্যান্সিয়াল ক্রাইম ইউনিট। এতে জমা রয়েছে মোট ১৮ কোটি ১৬ লক্ষ ৫৩ হাজার ৭৩৯ টাকা।

শনিবার সিআইডি সদর দফতর থেকে পাঠানো এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে এ তথ্য জানানো হয়।

বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়, ‘মুন্নি সাহা ও তার স্বামী কবির হোসেন কর্তৃক সাংবাদিকতা পেশাকে ব্যবহার করে বিধিবহির্ভূতভাবে, প্রভাব খাটিয়ে, প্রতারণা ও চাঁদাবাজির মাধ্যমে প্রচুর অর্থ উপার্জন করেছেন। তিনি অবৈধভাবে উপার্জিত অর্থ নিজ এবং স্বার্থ সংশ্লিষ্ট ব্যক্তি ও প্রতিষ্ঠানের নামে পরিচালিত ব্যাংক হিসাবের মাধ্যমে লেনদেন করে আসছেন বলে অভিযোগ পায় সিআইডি।’

‘অভিযোগের ভিত্তিতে সিআইডি, ফাইন্যান্সিয়াল ক্রাইম ইউনিট সন্দেহভাজন ব্যক্তি ও তার স্বার্থ সংশ্লিষ্ট ব্যক্তি ও প্রতিষ্ঠানের বিরুদ্ধে অনুসন্ধান শুরু করে। প্রাথমিক অনুসন্ধানকালে মুন্নি সাহা ও তার স্বামী কবির হোসেন এবং তাদের স্বার্থ সংশ্লিষ্ট ব্যক্তি ও প্রতিষ্ঠানের নামে থাকা ব্যাংক হিসাবের তথ্য পর্যালোচনা করে দেখা হয়। তাতে জানা যায়, সন্দেহভাজন ব্যক্তি ও তার স্বার্থ সংশ্লিষ্ট ব্যক্তি ও প্রতিষ্ঠানের নামে বিভিন্ন ব্যাংকে মোট ৪৬ টি ব্যাংক হিসাব খোলা হয়েছে। যার মধ্যে বর্তমানে ৩৫টি ব্যাংক হিসাব চালু রয়েছে।’

বিজ্ঞপ্তিতে আরো বলা হয়, ‘হিসাব খোলার তারিখ থেকে বিভিন্ন সময়ে ব্যাংক হিসাবগুলোতে সন্দেহজনকভাবে সর্বমোট ১৮৬ কোটি ৫৬ লাখ ৯১ হাজার ৮ টাকা লেনদেন করা হয়েছে এবং বর্তমানে ১৮ কোটি ১৬ লাখ ৫৩ হাজার ৭৩৯ টাকা জমা রয়েছে। প্রাথমিক অনুসন্ধানে উক্ত ব্যাংক হিসাব সমূহের লেনদেন সন্দেহজনক মনে হলে সেগুলো অবরুদ্ধ করার আবেদন করা হয়।’

‘অনুসন্ধানকারী কর্মকর্তার আবেদনের প্রেক্ষিতে আদালত সন্দেহভাজন মুন্নি সাহা ও তার স্বামী কবির হোসেন এবং তাদের স্বার্থ সম্পৃক্ত ব্যক্তি ও প্রতিষ্ঠানের নামে থাকা ১৮ কোটি ১৬ লাখ ৫৩ হাজার ৭৩৯ টাকাসহ ৩৫টি ব্যাংক হিসাব অবরুদ্ধ (ফ্রিজ) করার আদেশ প্রদান করেন। উক্ত আদেশের প্রেক্ষিতে ৩৫টি ব্যাংক হিসাবসহ ওই টাকা অবরুদ্ধ (ফ্রিজ) করা হয়।’

বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়, ‘সন্দেহভাজন মুন্নি সাহা ও তার স্বামী কবির হোসেন এবং তাদের স্বার্থ সম্পৃক্ত ব্যক্তি ও প্রতিষ্ঠানের বিরুদ্ধে মানিলন্ডারিং প্রতিরোধ বিধিমালা মতে অনুসন্ধান চলছে।’

Share This Article
Leave a comment

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *