সাংবাদিক ও কলাম লেখক বিভুরঞ্জন সরকারের মরদেহ শনাক্ত নিশ্চিত শেষে ছোট ভাই চিররঞ্জন সরকার বলেছেন, এমন পরিণতি যেন কারো না হয়।
শুক্রবার রাতে মুন্সিগঞ্জ জেনারেল হাসপাতাল মর্গের সামনে এক প্রেস ব্রিফিংয়ে এ কথা বলেন তিনি।
চিররঞ্জন প্রশ্ন রেখে বলেন, ‘আমার ভাইয়ের এমন মৃত্যু কিভাবে ঘটল? এটা আত্নহত্যা না খুন, নাকি পরিকল্পিত কোন কিছু, তা আমরা জানিনা!’
সাংবাদিক বিভুরঞ্জনের মরদেহ মুন্সিগঞ্জের গজারিয়ার চরবলাকী এলাকার মেঘনা নদী থেকে ভাসমান অবস্থায় শুক্রবার বিকাল ৩টার দিকে উদ্ধার করে নারায়ণগঞ্জের সোনারগাঁওয়ের পুলিশ। পরে সন্ধ্যায় তার মরদেহ ময়নাতদন্তের জন্য মুন্সিগঞ্জ জেনারেল হাসপাতাল মর্গে পাঠানো হয়।

নিহত সাংবাদিকের ভাই চিররঞ্জন জানান, বৃহস্পতিবার সকালে তার ভাই কর্মস্থল বনশ্রীর ‘আজকের পত্রিকার’ কার্যালয়ের উদ্দেশ্যে বাসা থেকে বের হন। এরপর থেকে তিনি নিখোঁজ ছিলেন। অফিসে যোগাযোগ করে জানা যায়, তিনি সেখানে যায়নি। বন্ধুবান্ধব, আত্নীয় স্বজন কোথাও তার কোনো খোঁজ মেলেনি। তার মোবাইলটিও বাসায় ছিল। বৃহস্পতিবার রাত ১০টার দিকে এ বিষয়ে রাজধানীর রমনা থানায় সাধারণ ডায়েরি (জিডি) করা হয়।
তার ছেলে ঋতু সরকার বলেন, বিকাল ৪টার দিকে রমনা থানা থেকে টেলিফোন করে জানানো হয় তার বাবাব মৃত্যুর কথা।
‘আর এখন মুন্সিগঞ্জে এসে দেখলাম বাবার মরদেহ,’ যোগ করেন তিনি।
পুলিশ জানিয়েছে, গজারিয়ার চরবলাকী এলাকার মেঘনা নদী থেকে ভাসমান অবস্থায় তার মরদেহটি উদ্ধার করা হয়।
নিহতের সুরতহাল প্রতিবেদন বলা হয়, মরদেহে আঘাতের কোনো চিহ্ন পাওয়া যায়নি। এটি উপুড় হয়ে নদীতে ভাসছিল। গলায় ঝুলছিল ব্যবহারের চশমা।