সন্ত্রাসী ব্যাক্তি ও দলের প্রচার নিষিদ্ধ

টাইমস রিপোর্ট
2 Min Read
জুলাই গণঅভ্যুত্থানের গ্রাফিতি। ছবি: উইকি

সন্ত্রাসবিরোধী আইনে অভিযুক্ত ব্যক্তি বা সংগঠনের পক্ষে কোনো ধরনের প্রচার—সংবাদ বিজ্ঞপ্তি, বিবৃতি, সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে পোস্ট বা জনসমাবেশ—এখন থেকে নিষিদ্ধ ঘোষণা করা হয়েছে। রোববার জারি করা এক অধ্যাদেশে এ কথা বলা হয়েছে।

অন্তর্বর্তী সরকারের এই পদক্ষেপ সরাসরি আওয়ামী লীগকে লক্ষ্য করেই নেওয়া হয়েছে বলে ধারণা করা হচ্ছে। আওয়ামী লীগের কার্যক্রম নিষিদ্ধের বিষয়ে সোমবার গেজেট প্রকাশের কথা রয়েছে।

অধ্যাদেশের মাধ্যমে ২০০৯ সালের সন্ত্রাসবিরোধী আইনের ২০ ধারায় সংশোধন আনা হয়েছে। আগে শুধু ‘তালিকাভুক্ত ব্যক্তি বা নিষিদ্ধ সংগঠন’-এর ক্ষেত্রে এ বিধান প্রযোজ্য ছিল, তবে সংশোধিত ধারায় বলা হয়েছে, ‘সন্ত্রাসবিরোধী আইনের ১৮(১) উপধারার অধীনে যাদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেওয়া হয়েছে, তাদের পক্ষে যে কোনো প্রচার সম্পূর্ণভাবে নিষিদ্ধ।’

এই সংশোধনী রোববার প্রধান উপদেষ্টা মুহাম্মদ ইউনূসের সভাপতিত্বে উপদেষ্টা পরিষদের বৈঠকে অনুমোদিত হয়।

পরে প্রধান উপদেষ্টার প্রেস উইং থেকে এক বিবৃতিতে জানানো হয়, আগের আইনে নিষিদ্ধ সংগঠনের কার্যক্রম প্রতিহত করার পর্যাপ্ত বিধান ছিল না। তাই বর্তমান বাস্তবতা বিবেচনায় সংশোধনীকে ‘যথাযথ ও প্রয়োজনীয়’ বলা হয়েছে।

নতুন বিধান অনুযায়ী, এখন সরকার ‘যুক্তিসংগত কারণ’ দেখিয়ে গেজেটের মাধ্যমে যে কোনো ব্যক্তি বা সংগঠনের ওপর নিষেধাজ্ঞা আরোপ করতে পারবে।

আন্তর্জাতিক অপরাধ (ট্রাইব্যুনাল) আইন ১৯৭৩-এর সাম্প্রতিক সংশোধনের পরপরই, এ পদক্ষেপ নেওয়া হলো। এতে এখন গণহত্যা ও মানবতাবিরোধী অপরাধে কোনো রাজনৈতিক দলকেও বিচার করা সম্ভব। এর আওতায় আওয়ামী লীগের বিরুদ্ধেও মামলা চলছে।

গত বছরের জুলাই-আগস্টে ছাত্রদের নেতৃত্বে বৈষম্যবিরোধী আন্দোলনে কঠোর দমন-পীড়নের জন্য আওয়ামী লীগকে দায়ী করে গণআন্দোলন ছড়িয়ে পড়ে। বিভিন্ন মানবাধিকার সংগঠনের হিসাবে, ওই সময় প্রায় দেড় হাজার জন নিহত হয়।

শনিবার রাতের জরুরি বৈঠকে অন্তর্বর্তী সরকার আওয়ামী লীগের সকল কার্যক্রম নিষিদ্ধ করার সিদ্ধান্ত নেয়।

 

Share This Article
Leave a comment

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *