কোরবানির ঈদের টানা ১০ দিনের ছুটি শেষে রোববার খুলেছে সরকারি অফিস, ব্যাংক ও আর্থিক প্রতিষ্ঠান।
ঢাকায় ফেরা কর্মজীবী মানুষের পদচারণায় মুখরিত এখন বাস-লঞ্চ টার্মিনাল ও রেল স্টেশন। ঈদের ছুটিতে ফাঁকা হয়ে যাওয়া মেগাসিটি ধীরে ধীরে আবারো হচ্ছে সচল। রাজপথ থেকে গলি—ধীরে ধীরে বাড়ছে যানবাহনের চাপ। প্রায় দেড় কোটি মানুষের প্রাচীণ এ রাজধানী ক্রমেই ফিরছে চিরচেনা রূপে।
অনেক যাত্রী জানান, অগ্রিম টিকেট না পেয়ে তারা গাদাগাদি করে ট্রেনে বা লোকাল বাসে ঢাকায় ফিরছেন।
দেশের বিভিন্ন অঞ্চল থেকে যাত্রী নিয়ে রাজধানীর টার্মিনালগুলোতে ঢুকছে বাস। পাশাপাশি ব্যক্তিগত গাড়িও অন্যদিনের চেয়ে বেশি প্রবেশ করছে ঢাকায়। রাজধানীমুখী ট্রেনেও যাত্রীদের চাপ বেড়েছে।
যাত্রীদের চাপ ও ব্যক্তিগত গাড়ি বেশি থাকলেও আগের সেই যানজটের ভোগান্তি এখনো দেখা যায়নি। সড়কে গত কয়েকদিনের তুলনায় এ দিন গাড়ির চাপ ও মানুষের চলাচল অনেক বেড়েছে।
যাত্রাবাড়ী, কমলাপুর, গাবতলি ও সায়েদাবাদ এলাকায় ঢাকায় ফেরা মানুষের ভিড় ছিল চোখে পড়ার মতো।

টার্মিনালগুলোতে দেখা গেছে, দেশের নানা প্রান্ত থেকে যাত্রী নিয়ে একের পর এক বাস ঢুকছে রাজধানীতে। এসব বাস থেকে নেমে রিকশা বা সিএনজি অটোরিকশায়. আবার কেউ আন্তঃশহর লোকাল বাসে যাচ্ছেন গন্তব্যে। মেট্রোরেল ও মোটরসাইকেল রাইডের চাহিদাও ব্যাপক।
কেন্দ্রীয় প্রশাসনিক দপ্তর সচিবালয়ে সকাল থেকেই কর্মকর্তা-কর্মচারীরা অফিস করছেন। তবে এখনো যেন ঈদের আমেজ কাটেনি, অপরের সাথে শুভেচ্ছা ও কুশলাদি বিনিময়ে কাটছে অনেকটা সময়।
পবিত্র ঈদুল আযহা উদযাপিত হয় ৭ জুন। ঈদের ছুটি উপলক্ষে ৪ জুন ছিল সরকারি কর্মকর্তা-কর্মচারীদের শেষ কর্মদিবস। ৫ জুন শুরু হয় সংবাদকর্মীদের পাঁচদিন আর সরকারি কর্মকর্তা-কর্মচারীদের ১০ দিনের ছুটি।
সরকারি সিদ্ধান্ত অনুযায়ী, সরকারি কর্মকর্তা-কর্মচারীদের ছুটি শেষ হয়েছে শনিবার, ১৪ জুন। এর আগে ৬ মে উপদেষ্টা পরিষদের সভায় নির্বাহী আদেশে সরকারি অফিস ১১ ও ১২ জুন ছুটি দেওয়ার সিদ্ধান্ত হয়।
এছাড়া ঈদের আগে দুই শনিবার অফিস চালু রাখারও সিদ্ধান্ত হয়। নির্বাহী আদেশে দু’দিন ছুটির ফলে সবমিলিয়ে টানা ১০ দিনের ছুটি পান সরকারি চাকরিজীবীরা।