মোহাম্মদপুরের শীর্ষ সন্ত্রাসী কব্জিকাটা আনোয়ারের হাত ধরে পাঁচ-ছয় বছর আগে অপরাধ জগতে প্রবেশ আসাদ ওরফে আরশাদের। অল্প সময়ের ব্যবধানে আসাদ নিজেই এখন মোহাম্মদপুর-আদাবর এলাকার ত্রাস। ছোটবেলা থেকে নির্মাণ শ্রমিক হিসেবে কাজ করা আসাদ বর্তমানে নিজেই সন্ত্রাসী বাহিনী পরিচালনা করেন।
র্যাপিড অ্যাকশন ব্যাটালিয়ন (র্যাব) এক বিশেষ অভিযানে সহযোগীসহ গ্রেপ্তার করেছে মো. আসাদ ওরফে আরশাদকে।
সোমবার দুপুরে রাজধানীর কাওরান বাজারে র্যাব মিডিয়া সেন্টারে এক সংবাদ সম্মেলনে এসব তথ্য জানান র্যাব-২ এর অধিনায়ক অতিরিক্ত ডিআইজি মো. খালিদুল হক হাওলাদার।
তিনি জানান, রোববার সাভারের ভাকুর্তা এলাকায় বিশেষ অভিযান চালিয়ে র্যাব-২ গ্রেপ্তার করেছে ‘আয়েশা গ্রুপের’ প্রধান মো. আসাদ ওরফে আরশাদ ও তার সহযোগী ইউসূফকে। তাদের কাছ থেকে ছিনতাই ও হামলার কাজে ব্যবহৃত ছয়টি সামুরাই উদ্ধার করা হয়েছে।
আসাদ দীর্ঘদিন ধরে মোহাম্মদপুর ও আদাবর এলাকায় মাদক ব্যবসা, চাঁদাবাজি, ভূমি দখল, ছিনতাইসহ নানা অপরাধে জড়িত। এর আগে গ্রেপ্তার কব্জিকাটা আনোয়ারের ঘনিষ্ঠ সহযোগী হিসেবে অপরাধ করে আসছিল আসাদ ও তার বাহিনী। বর্তমানে আয়েশা গ্রুপের নেতৃত্বে থাকা আসাদ একাধিকবার বিভিন্ন ব্যক্তিকে দেশীয় অস্ত্র দিয়ে কুপিয়ে গুরুতর আহত করে।
র্যাব কর্মকর্তা খালিদুল হক হাওলাদার বলেন, ‘আদাবরে মাদক সংক্রান্ত বিরোধের জেরে ২৯ জুন রাজু নামে এক যুবককে কুপিয়ে মারাত্মক জখম করে আসাদ ও তার সহযোগীরা। এ ঘটনায় পরদিন আদাবর থানায় একটি হত্যাচেষ্টা মামলা হয়। তার বিরুদ্ধে আদাবর থানায় হত্যাচেষ্টা, ডাকাতি, ছিনতাই ও চুরিসহ মোট সাতটি মামলা রয়েছে।’
‘গ্রেপ্তার ব্যক্তিরা দিনের বেলায় ছোট ছোট দলে বিভক্ত হয়ে নির্জন স্থানে পথচারীদের টার্গেট করে ছিনতাই করতো। রাতে তারা বাসাবাড়িতে ঢুকে বা চলন্ত গাড়ি থামিয়ে অস্ত্রের মুখে সর্বস্ব লুটে নিতো। নগদ অর্থ, মোবাইল ফোন, ল্যাপটপ, ব্যাগসহ যেকোনও মূল্যবান সামগ্রী ছিল তাদের প্রধান টার্গেট।’