আসিথা ফার্নান্দোর বলে অধিনায়ক নাজমুল হোসেন শান্তর আলতো হাতের অফ ড্রাইভ। মিড অনে সামনে ঝাঁপিয়ে পড়ে দারুণ এক ক্যাচ ধরে শান্তকে ফেরান বিদায়ী টেস্ট খেলতে নামা অ্যাঞ্জেলো ম্যাথুস। গল টেস্টের দ্বিতীয় দিনের প্রথম সেশনে বাংলাদেশের বিপক্ষে শ্রীলংকার একমাত্র সাফল্য এটাই। দিনের শুরুতে শান্তর উইকেট হারালেও সেঞ্চুরিয়ান মুশফিকুর রহিম ও লিটন দাসের বড় হতে থাকা জুটিতে ভর করে ৪ উইকেটে ৩৯০ রান তুলে লাঞ্চ ব্রেকে গিয়েছে বাংলাদেশ।
১৩৬ রানে অপরাজিত থেকে দ্বিতীয় দিনের খেলা শুরু করা শান্ত ইনিংস খুব বেশি টানতে পারেননি। আর ১২ রান যোগ করে ফিরতে হয় তাকে। ১৫ চার ও এক ছক্কায় ২৭৯ বলে ১৪৮ করেন এই বাঁহাতি ব্যাটার। শান্তর বিদায়ে অবশ্য আরেকটা রেকর্ড হাতছাড়া হয়েছে বাংলাদেশের। ২ রানের জন্য টেস্টে চতুর্থ উইকেট জুটিতে সর্বোচ্চ রানের রেকর্ড হয়নি শান্ত-মুশফিকের। ২৬৪ রান তুলেছেন দুজন মিলে।
শান্ত ফিরলেও লিটন দাসের পাল্টা আক্রমণে বড় লক্ষ্যের দিকেই চোখ রেখেছে বাংলাদেশ। আন্তর্জাতিক ক্রিকেটে রানের খোঁজে থাকা এই ব্যাটার ৫৭ বলে ৪৩ রান তুলেছেন এক ছক্কা ও পাঁচটি চারে। অবশ্য এখানে তার রান তোলার গতির চেয়ে ব্যাটিং এপ্রোচটাই মুখ্য ভুমিকা রেখেছে প্রথম সেশনে। ১০৯তম ওভারে স্পিনার থারিন্দু রথনায়েকের টানা তিন বলে আদায় করেছেন বাউন্ডারি। প্রবাথ জয়সূরিয়াকে ছক্কা মেরেছেন স্টেপ আউট করে।
মুশফিক অপরাজিত আছেন ২৭২ বলে ১৪১ রান নিয়ে। অবশ্য ব্যক্তিগত ১২৬ রানেই থামতে পারতেন এই অভিজ্ঞ ডানহাতি ব্যাটার। থারিন্দুর বল মিড অনে পাঠিয়ে রানের জন্য ছোটেন লিটন। সরাসরি থ্রোতে বল উইকেটে লাগলে নিশ্চিত আউট হতেন তিনি। এর আগে ব্যক্তিগত ৮ রানে থাকা অবস্থায় লিটনও জীবন পেয়েছেন রান আউট থেকে বেঁচে। মুশফিকের স্কয়ার কাটের পর সিংগেল নিতে ছুটতে থাকেন তিনি, কিন্তু মুশফিক তখনও সাড়া দেননি।
দুই ব্যাটার ছিলেন প্রায় একই প্রান্তে। অবশ্য মুশফিক সাড়া না দেয়াতে লিটন আবার ছুটে আসেন নন স্ট্রাইকিং এন্ডে। অল্পের জন্য জীবন পান এই ডানহাতি ব্যাটার। এই দুটি রান আউট ছাড়াও দুজনই একবার করে ক্যাচ তুলেছিলেন, কিন্তু লংকান ফিল্ডাররা সেসব ধরতে পারেননি।
সেশনের শেষদিকে উইকেট থেকে কিছুটা সাহায্য পাওয়াতে দুই লংকান স্পিনারের টুকিটাকি চ্যালেঞ্জ ছুঁড়েছেন। তবে দারুণ ফুটওয়ার্কে টার্নের বাধাটা টপকে গেছে মুশফিক-লিটন জুটি।