টসে হেরে ব্যাট করতে নেমে ৭ রানেই নেই দুই ওপেনার। প্রথম ওভারের শেষ বলে নুয়ান থুসারার ইনসুইংগারে বোল্ড পারভেজ হোসেন ইমন। দ্বিতীয় ওভারে বিনুরা ফার্নান্দোর আউট সুইংগারে ফ্ল্যাশি ড্রাইভে থার্ডম্যানে ক্যাচ দিয়ে আউট তানজিদ হাসান তামিমও। শুরুটা দেখে প্রথম টি-টোয়েন্টির ব্যাটিং ব্যর্থতাও উঁকি দিচ্ছিল ডাম্বুলায় দ্বিতীয় টি-টোয়েন্টিতে। তবে অধিনায়ক লিটন দাস, শামীম হোসেন পাটোয়ারী এক ম্যাচ আগের দিশাহীন ইনিংসটা ফিরে আসতে দেননি। সিরিজে টিকে থাকার ম্যাচে লিটনের ফিফটির সাথে শামীমের ঝড়ো ৪৮ রানের ইনিংসে ২০ ওভারে ৭ উইকেটে ১৭৭ রান করেছে বাংলাদেশ।
দ্রুত দুই উইকেট পড়ে যাওয়ার পর সেই ধাক্কা তাওহিদ হৃদয়কে নিয়ে সামাল দেন লিটন। তৃতীয় উইকেটে গড়েন ৬৯ রানের জুটি। হৃদয়ের বিদায়ের পর ইনিংসের মোড় ঘুরানো ৩৯ বলে ৭৭ রানের জুটিতে লিটনকে সঙ্গ দিয়েছেন শামীম। ৫০ বলে ৭৬ রান করেছেন লিটন, শামীম ফিরেছেন ২৭ বলে ৪৮ রানে। শেষ চার ওভারে দুই উইকেট হারালেও ৪৯ রান তুলে ১৮০ ছুঁইছুঁই সংগ্রহ পেয়েছে বাংলাদেশ।
ম্যাচের আগে ধারাভাষ্যকার ফারভিজ মাহারুফ পিচ রিপোর্টে বলেছিলেন, ডাম্বুলার ঘাস মাখা এই উইকেটে প্রথম ইনিংসে গড়ে রান উঠে ১৬৫ করে। তবে জেতার জন্য ১৮০ রান হলেই সেটা নিরাপদ। ব্যাটিংয়ে নেমে লিটনও যেন শুনলেন সাবেক এই লংকান ক্রিকেটারের কথা। শুরুর ধসের পর তাওহিদ নিয়ে একটু দেখেশুনেই খেলেছেন লিটন। প্রথম ছয় ওভারে তেমন কোনো ঝুঁকি না নিয়ে তুলেছেন ৩৯ রান।
এই ইনিংসে ব্যাট করতে নামার বেশ চাপেই ছিলেন লিটন। ব্যাটে রান নেই, দলও ভালো করেনি প্রথম ম্যাচে। নিজেকে আরো একবার প্রমাণের চ্যালেঞ্জটাও তাকে তাই নিতে হয়েছে এই ম্যাচে। যেটা ব্যাট হাতে বেশ ভালোভাবেই পেরিয়ে গেছেন। ১৩ ইনিংসে পর ফিফটি পেয়েছেন এই ডানহাতি ব্যাটার। ৩৯ বলে ৩ ছক্কা ও ১ চারে ১২-তম ফিফটি তোলার পর উইকেটে ছিলেন আরো ১১ বলে। সেই ১১ বলে মেরেছেন আরো দুটো ছক্কা।
মাহিশ থিকশানাকে স্লগ করতে গিয়ে শর্ট থার্ডম্যানে নুয়ান থুসারার হাতে ক্যাচ দেয়ার আগে তার ব্যাট থেকে এসেছে ৫০ বলে ৭৬ রানের ইনিংস। অবশ্য এর আগে দুইবার জীবনও পেয়েছেন লিটন। দুইবারই বোলিংয়ে ছিলেন জেফ্রি ভ্যান্ডারসে। ব্যক্তিগত ৩০ রানে এই লেগির বলে উইকেট ছেড়ে মারতে গিয়ে, পরাস্ত হন লিটন। কিন্তু বল ধরতে স্টাম্পিং করতে ব্যর্থ হন কুশাল মেন্ডিস। দ্বিতীয়বার মিড অফে লিটনের ক্যাচ ছাড়েন থিকশানা। অবশ্য দুইবার সুযোগ পেয়ে সেটা কাজেও লাগিয়েছেন বাংলাদেশ অধিনায়ক।
লিটনের বিদায়ে ভেঙেছে শ্রীলংকার বিপক্ষে পঞ্চম উইকেটে বাংলাদেশের তৃতীয় সর্বোচ্চ ৭৭ রানের জুটিতে। এই জুটিতে সমানতালে রান তুলেছেন লিটন-শামীম। ইনিংসের শেষ ব্যাটার হিসেবে রান আউট হওয়ার আগে ৫ চার ও দুই ছক্কায় ২৭ বলে ৪৮ রান করেছেন এই বাঁহাতি ব্যাটার। চার মেরে ইনিংসের শেষটা করেছেন মোহাম্মদ সাইফউদ্দিন।
তিন উইকেটে নিয়েছেন বিনুরা, একটি করে উইকেট পেয়েছেন থিকশানা ও থুসারা।