সেনাবাহিনীর লোগো/স্টিকার সংবলিত যানবাহন এর মাধ্যমে রাজনৈতিক দলকে পরিবহন সহায়তা প্রদান প্রসঙ্গে ‘বিভ্রান্তিমূলক পোস্ট’ সম্পর্কে ব্যাখ্যা দিয়েছে বাংলাদেশ সেনাবাহিনী।
শনিবার সংস্থাটির এক ভেরিফায়েড ফেসবুক পোস্টে এ তথ্য জানানো হয়।
পোস্টে বলা হয়, ‘সম্প্রতি, সামাজিক মাধ্যমে একটি পোস্ট এ দাবি করা হয়েছে যে, বাংলাদেশ সেনাবাহিনী একটি রাজনৈতিক দলকে তাদের কর্মসূচির জন্য বাস সরবরাহ করেছে। এই পোস্টটি সম্পূর্ণ মিথ্যা, উদ্দেশ্যপ্রণোদিত এবং বিভ্রান্তিকর, যা সেনাবাহিনীর ভাবমূর্তি ক্ষুণ্ন করার সুস্পষ্ট অপচেষ্টা।’
বাস্তবতা হলো, সেনাবাহিনী পরিচালিত বিভিন্ন শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানে শিক্ষার্থীদের যাতায়াতের সুবিধার্থে বহির্ভূত উৎস থেকে অস্থায়ীভাবে কিছু বেসরকারি গণপরিবহন ভাড়া নেওয়া হয়। অনেক সময় এসব বাসে অস্থায়ীভাবে ‘বাংলাদেশ আর্মি’লেখা বা লোগো ব্যবহার করা হয়ে থাকে। তবে কিছু গণপরিবহন সেনাবাহিনীর সঙ্গে তাদের চুক্তি শেষ হয়ে যাওয়ার পরও সড়কে কিছুটা সুবিধা পাওয়ার উদ্দেশে অনিয়মতান্ত্রিকভাবে সেনাবাহিনীর নাম বা লোগো রেখে দেয় যা একটি আইন বহির্ভূত কাজ, পোস্টে যোগ করা হয়।
এতে আরও বলা হয়, একটি স্বার্থান্বেষী মহল উদ্দেশ্যপ্রণোদিতভাবে সেনাবাহিনীকে বিতর্কিত করার অপচেষ্টায় লিপ্ত রয়েছে। এ প্রেক্ষিতে, সাধারণ জনগণকে বিভ্রান্ত না হওয়ার জন্য এবং যাচাই-বাছাই ছাড়া কোনো তথ্য শেয়ার না করার জন্য বাংলাদেশ সেনাবাহিনীর পক্ষ থেকে অনুরোধ জানানো হচ্ছে। বাংলাদেশ সেনাবাহিনী সর্বদা সংবিধান, রাষ্ট্রীয় নিরাপত্তা এবং পেশাদারিত্বের প্রতি অঙ্গীকারবদ্ধ।